কয়েক মাসের মধ্যে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ আসছে: প্রতিমন্ত্রী

Post Image

চলমান বিদ্যুৎ সংকটকে সাময়িক বলে উল্লেখ করেছেন বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ। লোডশেডিংয়ের কারণে বর্তমান সংকটে তিনি দুঃখ প্রকাশ করেন। একইসঙ্গে এ সমস্যার সমাধান করা হবে বলে আশ্বাস দেন প্রতিমন্ত্রী।

তিনি বলেন, কয়েক মাসের মধ্যে জাতীয় গ্রিডে চার হাজার মেগাওয়াট বিদ্যুৎ যুক্ত হবে। আজ শুক্রবার প্রতিমন্ত্রী তার ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজে দেওয়া এক পোস্টে এসব কথা বলেন।

তীব্র বিদ্যুৎ সংকটের কারণে গত মঙ্গলবার থেকে সারাদেশে লোডশেডিং শুরু হয়েছে। গত সোমবার প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এই লোডশেডিংয়ের ঘোষণা দেওয়া হয়। প্রধানমন্ত্রীর বিদ্যুৎ, জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ বিষয়ক উপদেষ্টা তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী এ ঘোষণা দেন।

সেখানে প্রতিমন্ত্রীও উপস্থিত ছিলেন। লোডশেডিংয়ের কথাও বলেছেন। তৌফিক-ই-ইলাহী চৌধুরী ওই সংবাদ সম্মেলনে বলেন, খরচ কমাতে বিদ্যুৎ উৎপাদন কমানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আজ থেকে ডিজেলভিত্তিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের উৎপাদন সাময়িকভাবে বন্ধ থাকবে। এই সিদ্ধান্ত সাময়িক। বিশ্ব পরিস্থিতি কেটে গেলে আগের অবস্থান ফিরে আসবে।

বিদ্যুৎ সমস্যা সমাধানে উপদেষ্টা নির্দিষ্ট সময়সীমার কথা উল্লেখ করলেও প্রতিমন্ত্রী নসরুল হামিদ আজ এক পোস্টে বলেন, ‘আগামী কয়েক মাসের মধ্যে পায়রা তাপবিদ্যুৎ কেন্দ্র ও রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্রের দ্বিতীয় ইউনিট চালু করা হবে এবং একই সময়ে ভারতের আদানি পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে ১৪০০ মেগাওয়াট বিদ্যুত আমদানির সময় ৪ হাজার মেগাওয়াটের বেশি হবে। বিদ্যুৎ আমাদের জাতীয় গ্রিডে সংযুক্ত হবে।’ দেশের বিদ্যুতের উৎপাদন কমে যাওয়ায় চাহিদা ও চাহিদার ব্যবধান বাড়ছে।

বৃষ্টির কারণে চাহিদা কমে যাওয়ায় গত বুধবার স্বস্তি পাওয়া গেছে। তবে বৃহস্পতিবার বিদ্যুৎ সরবরাহ নিয়ে বিপাকে পড়েছে বিতরণ কোম্পানিগুলো। এলাকায় এক ঘণ্টা লোডশেডিং ঘোষণা করা হলেও গড়ে দুই ঘণ্টার বেশি। বিশেষ করে ঢাকার বাইরে ছয় ঘণ্টা পর্যন্ত লোডশেডিং করতে হয়।

নসরুল হামিদ বলেন, ‘আমরা সব সময় বলে আসছি বর্তমান সংকট সাময়িক। এই সমস্যা বেশিদিন থাকবে না। তবে বর্তমান বিদ্যুৎ সমস্যার জন্য সম্মানিত গ্রাহকদের প্রতি সমবেদনা জানাচ্ছি এবং সকলের সহযোগিতা কামনা করছি।’