পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে টিকটক, বিশেষ ক্ষমতা আইনের যুবক

Post Image

পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে টিকটক, বিশেষ ক্ষমতা আইনের যুবক

পদ্মা সেতুর নাটবল্টু খুলে টিকটক করে গ্রেপ্তার হয়েছেন বায়েজিদ তালহা নামে এক যুবক। তার বিরুদ্ধে ১৯৭৪ সালের বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ (৩) ধারায় মামলা করেছে সিআইডি পুলিশ। এই মামলায় ওই যুবককে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথাও ভাবছে সংস্থাটি।

সংস্থার প্রধান ব্যরিস্টার মাহবুব রবিবার রাতে ঢাকাটাইমসকে এমনটিই জানালেন। তিনি বলেন, ওই যুবকের কাছ থেকে তথ্য আদায় করা যাচ্ছে না। তাকে হেফাজতে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদের মাধ্যমে নাট খোলার রহস্য বের করা সম্ভব হবে বলে মনে করি।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় কী আছে- সেদিকে একটু নজর দেয়া যেতে পারে। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে বিশেষ ক্ষমতা আইনে অস্ত্র, চোরাচালান বা জাল টাকার ব্যবসার কিছু মামলার কথা শোনা যায়। কিন্তু কোনো স্থাপনা থেকে কোনো বস্তু সরালে বা নষ্ট করলে কোন ধারায় মামলা বা বিচার হয়, সে বিষয়টি অনেকটা চাপা পড়ে আছে।

বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫ ধারার ৩ উপধারায় বলা হয়েছে, অন্তর্ঘাতমূলক কাজ যেমন— রেলপথ, ঝুলন্ত রজ্জু পথ, রাস্তা, খাল, সেতু-কালভার্ট, বাঁধ-সেতু, বন্দর, ডকইয়ার্ড, বাতিঘর, বিমান ঘাঁটি, টেলিগ্রাফ লাইন বা খুঁটি বা টেলিভিশন বা বেতার প্রতিষ্ঠানের সম্পদের কার্যক্ষমতা ব্যাহত করা অথবা সম্পদগুলির ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে কোনো ব্যক্তি অনৈতিক কাজ করতে পারবে না। এরকম কোনো কাজ করলে তার বিরুদ্ধে বিশেষ ক্ষমতা আইনের ১৫(৩) ধারায় অভিযুক্ত করা হবে।

এ অপরাধের শাস্তি হিসেবে বলা হয়েছে, কোনো ব্যক্তি এই ধারার কোনো বিধান লঙ্ঘন করলে মৃত্যুদণ্ড, যাবজ্জীবন কারাদণ্ড অথবা ১৪ বছর পর্যন্ত যেকোনো মেয়াদে কারাদণ্ড হবে। সেইসঙ্গে তাকে অর্থদণ্ডেও দণ্ডিত করা যাবে।

প্রসঙ্গত, ১৯৯৯ সালে রামপুরার নাসিমা নামে এক নারীকে এ ধরনের মামলায় গ্রেপ্তার করা হয়েছিল। তার বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি বিদ্যুৎ স্টেশন উড়িয়ে দিতে চেয়েছিলেন। পরে অনেকদিন জেল খাটতে হয়েছে তাকে।