দৈনিক পত্রিকা বিজনেস ফাইল এ বিগত ০১/০৯/২০২৪ইং তারিখে প্রথম পৃষ্ঠায় জনৈক সাইদুল ইসলাম কর্তৃক ভ্যাম্যমান প্রতিনিধির মাধ্যমে প্রকাশিত শিরোনামে ‘নিজে প্রভাবশালী এমন ভয় দেখিয়ে নান অপরাধে জড়িত কে এই হেফজুল বারী’যে সংবাদ প্রচারিত করা হয়েছে তার প্রতিবাদ বিষয়ে ডাঃ এ.এফ.এম. হেফজুল বারী খান এর পক্ষ থেকে প্রতিবাদ পসঙ্গে জানান যে,
সাংবাদিক পারিচয দিয়ে ভালুকা থেকে আগত জনৈক সাইফুল ইসলাম আমার এবং আমার দুই ভাইয়ের বিরুদ্ধে সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন, মিথ্যা এবং মানহানিকর সংবাদ প্রকাশ করেন যার একটি বাক্যও সঠিক নন তিনি এ সংবাদ প্রকাশের আগে আমাকে সামানা জিজ্ঞাসাবাদ করেননি। তিনি বলেছেন আমি ডাক্তার এবং আওয়ামী লীগ নেতা পরিচয় দিয়ে থাকি। ডাক্তার পরিচয় দেয়ার কি আছে, আমি একজন সরকারি ডাক্তার এবং সহকারি অধ্যাপক, রেসপিরেটরি মেডিসিন হিসেবে ২০১৫ সনে ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল থেকে অবসর গ্রহন করি। আমি কখনোই কোন রাজনৈতিক দলের সাথে সম্পৃক্ত ছিলাম না, এমনকি রাজনৈতিক দলের অঙ্গ সংগঠন স্বাচিপ এবং ড্যাবের আমি সদস্য নই।
মিথ্যা খুনের মামলায় আমাদের পরিবারের কারো বিরুদ্ধেই কোন চার্জশীট দেয়৷ হয়নি। আমি অনেকের ক্ষতি করেছি বলে আপনার রিপোর্টার যে কথাটি বলেছেন তা সম্পূর্ণ ভূয়া এবং ভিন্তিহীন। কারণ আমার বিরুদ্ধে কারো কোন অভিযোগ আদালত অথবা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে নেই। আমার ভাইয়েরা কারো কোন জমি দখল করেননি, এমন অভিযোগ কেউ কোথাও দায়ের করেননি। আমার ভাইয়ের পরিচালনাধীন সুহৃদ নামের যে ডায়াগনস্টিক সেন্টারটি রয়েছে সেখানে শুধু পরীক্ষা-নিরীক্ষা করা হয় ৷ সেখানে শিশু মৃত্যু বা গর্ভপাতের মতো ঘটনা কখনোই ঘটেনি এবং ম্যাজিস্ট্রেট সাহেব একাধিকবার প্রতিষ্ঠানটি বন্ধ করেছেন বলে যে রিপোর্ট তিনি করেছেন তা সম্পূর্ণ ভিত্তিহীন এবং নির্জলা মিথ্যাচার। পুলিশের একজন এএসআইয়ের বিরুদ্ধে দুর্নীতির যে অভিযোগ আমি এনেছি তা শতভাগ সত্য। শেরপুরের মাননীয় জেলা ও দায়রা জজ আমার আনীত দূর্নীতির অভিযোগ গ্রহন করে
তা তদন্তের জন্য উপ-পরিচালক, জেলা সমন্বিত কার্যালয় দূদক জামালপুর কে নির্দেশ দিয়েছেন। অভিযোগের এখনো কোনো তদন্ত রিপোর্ট আদালতে দাখিল হয়নি তাই কি করে জানলেন যে, আমার অভিযোগটি ভিত্তিহীন? শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার জনাব নুরুল ইসলাম হিরো নাকি বলেছেন আমি মুক্তিযোদ্ধা নই। ২০১৭ ইং সনের ২১ শে জানুয়ারি নকলায় যে যাচাই বাছাই হয় সেখানে আমার সাক্ষীদের চিঠি দিয়ে ডাকা হয়নি এবং সাক্ষীদের স্বাক্ষ্য নেওয়া হয়নি। এর দায় দায়িত্ব এবং একজন প্রকৃত মুক্তিযোদ্ধাকে বঞ্চিত করার হীন চক্রান্তে জড়িত উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আবুল মনসুর এবং জনাব হিরো নিজে। কারণ তারা যাচাই-বাছাই কার্যক্রম সুষ্ঠভাবে পরিচালনার দায়িত্বে ছিলেন এবং সে দায়িত্ব তারা সুষ্ঠভাবে পালন করেননি। তারপরও যাচাই বাছাই ফলাফল শীটে আমার সম্পর্কে বলা হয়, তিনি দেশের অভ্যন্তরে প্রশিক্ষণ গ্রহণ করেছেন। তাদের হয়রানি ও অনিয়মের বিরুদ্ধে একটি রিট মামলা মহামান্য হাইকোর্টে বিচারাধীন। এমতাবস্থায়, আমি মুক্তিযোদ্ধা নই আদালতের বাইরে শেরপুর জেলা মুক্তিযোদ্ধা
সংসদের সাবেক কমান্ডার জনাব হিরোর এমন মন্তব্য আদালত অবমাননার শামিল। শেরপুরে আপনার পত্রিকার নিজস্ব প্রতিনিধি থাকার পরও এমন ভ্রাম্যমান প্রতিনিধি পাঠিয়ে মিথ্যা, ভিন্তিহীন ও মানহানিকর খবর প্রকাশের জন্য আমি তীব্র প্রতিবাদ জানাচ্ছি। আমার প্রতিবাদ সংবাদটি আপনি আপনার পত্রিকার প্রথম পাতায় যথাযথ স্থানে অবিলম্বে ছাপিয়ে একজন বিজ্ঞ সম্পাদকের দায়িত্বশীলতার পরিচয় দিবেন বলে, ধন্যবাদ জানিয়ে প্রতিবাদের বক্তব্য শেষ করেন।