নেত্রকোনায় শিশু শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগ পাওয়া গেছে। গতকাল শুক্রবার কেন্দুয়া উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাখলা গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনার পরে স্থানীয় মাতব্বররা তাদের সঙ্গে মীমাংসা করতে চেয়েছেন বলে জানায় শিশুটির পরিবার। তাদের জন্যে, শিশুটিকে ভালো হাসপাতালে চিকিৎসাও করাতে পারছেন না বলে জানান শিশুটির মা।
এদিকে, শিশুটিকে ধর্ষণের অভিযোগ যার বিরুদ্ধে সেই সেবক মিয়া (২০) পলাতক রয়েছেন।
আজ শনিবার সকালে ওই শিশুর বাবা বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কেন্দুয়া থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। এদিকে, জবানবন্দি রেকর্ড করার জন্য শিশুটিকে নেত্রকোনা আদালতে পাঠিয়েছে পুলিশ।
কেন্দুয়া থানা পুলিশ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার গড়াডোবা ইউনিয়নের সাখরা (দক্ষিণপাড়া) গ্রামের ওই শিশুটি গতকাল দুপুরে বাড়ির পাশে খেলছিল। এ সময় একই গ্রামের সেবক মিয়া (২০) শিশুটিকে একা পেয়ে পাশের বাজারে তাঁর চাচা বাবুল মিয়ার কাঠের দোকানে নিয়ে যায়। পরে ওই দোকান ঘরেই শিশুটিকে ধর্ষণ করা হয়। এ সময় শিশুটি চিৎকার করলে প্রতিবেশীরা ছুটে গিয়ে তাকে উদ্ধার করে। কিন্তু কৌশলে সেবক মিয়া পালিয়ে যান।
পরিবারের লোকজন চিকিৎসার জন্য শিশুটিকে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাওয়ার পথে স্থানীয় মাতব্বররা বিষয়টি মীমাংসার কথা বলে তাদের বাড়িতে ফিরিয়ে নিয়ে যায়। কিন্তু ঘটনার খবর পেয়ে রাতেই পুলিশ ছুটে যায়।
শিশুটির মা জানান, শিশুটি প্রচণ্ড অসুস্থ। কিন্তু গ্রামের কিছু লোকজনের কারণে সরকারি হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করানো সম্ভব হয়নি। এখন শিশুটি শারীরিকভাবে অসুস্থ ও দুর্বল হয়ে পড়ছে। তিনি সেবক মিয়ার দৃষ্টান্তমূলক বিচার দাবি করেন।
কেন্দুয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ইমারত হোসেন গাজী মামলা রুজু করার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। আসামিকে গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে বলে তিনি জানান।