২০১৬ সাল থেকে ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরলেও, বন্ধ ছিল জাতীয় দল ও বিপিএলের মতো ফ্র্যাঞ্চাইজিভিত্তিক টুর্নামেন্টের দরজা। সেই পথটাও খুলছে। আগস্টের ১৩ তারিখ, সোমবার থেকে জাতীয় দল ও বিপিএল থেকেও তার নিষেধাজ্ঞাও উঠে যাচ্ছে মোহাম্মদ আশরাফুলের।
পাঁচ বছরের দীর্ঘ সময় কাটিয়ে আবারও জাতীয় দলে জায়গা পাওয়ার জন্য লড়তে চাওয়া কিংবা ফ্র্যাঞ্চাজিভিত্তিক টুর্নামেন্টে অংশ নিতে পারার আগ্রহটা তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে আশরাফুলকে। তিনি বলেছেন, ‘২০১৮ সালের ১৩ আগস্টের জন্য আমি অনেক লম্বা সময় অপেক্ষা করেছি।’
আশরাফুল বলেন, ‘এটা আসলে পাঁচ বছরের চেয়েও বেশি কিছু। যদিও আমি এই সময়ের মধ্যে অন্তত দুই মৌসুম ঘরোয়া ক্রিকেটে খেলেছি। এবার জাতীয় দলের জন্য চেষ্টা করার ব্যাপারে আমাকে কেউ আটকাবে না। আবারও বাংলাদেশের হয়ে খেলতে পারাটা বিশাল অর্জন হবে।’
ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে নিজের শেষ দুই মৌসুমে দারুণ কিছুই করে দেখিয়েছেন আশরাফুল। ২০১৭-১৮ মৌসুমের এই লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টে পাঁচটি সেঞ্চুরি করেন তিনি। টুর্নামেন্টের ইতিহাসে এটি একটা রেকর্ড। শুধু তাই নয়, লিস্ট ‘এ’ টুর্নামেন্টের হিসেবে আশরাফুল দ্বিতীয় ব্যাটসম্যান যার এক মৌসুমে পাঁচটি সেঞ্চুরি আছে। প্রথমজন হলেন দক্ষিণ আফ্রিকার আলভিরো প্যাটারসন। ২০১৫-১৬ মৌসুমে দেশটির মোমেন্টাম ওয়ান-ডে কাপ টুর্নামেন্টের এক মৌসুমে পাঁচ সেঞ্চুরি পান প্যাটারসন।
তবে ঘরোয়া ক্রিকেটে নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে প্রথম মৌসুমে খুব সুবিধা করতে পারেননি আশরাফুল। এ প্রসঙ্গে আশরাফুল বলেছেন, ‘প্রথম মৌসুমে আমার ফেরাটা খুব সুবিধাজনক হয়নি। কিন্তু পরের মৌসুমেই আমি ভালো করেছিলাম। সামনের মৌসুমগুলোতে আরও ভালো করতে পারব বলে আশাবাদী।’
প্রসঙ্গত, ২০১৪ সালের জুনে আশরাফুলকে ৮ বছরের নিষেধাজ্ঞা ও ১০ লাখ টাকা জরিমানা করে বিপিএলের এন্টি-করাপশন ট্রাইবুন্যাল। একই বছরের সেপ্টেম্বরে বিসিবির ডিসিপ্লিনারি প্যানেল সেই নিষেধাজ্ঞা কমিয়ে ৫ বছরে নিয়ে আসে।