বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের সাফল্য স্কটল্যান্ডে প্রয়োগ করতে গিয়ে ব্যর্থ হলেন নোবেলজয়ী মুহাম্মদ ইউনূস।
গ্রাহকদের কাছ থেকে ঋণ আদায় করতে না পারায় যুক্তরাজ্যের গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন নামে এই প্রতিষ্ঠানটি অর্থসঙ্কটে পড়ে গুটিয়ে গেছে বলে রোববার বিবিসির এক প্রতিবেদনে বলা হয়।
তিন দশক আগে বাংলাদেশে ইউনূসের উদ্যোগে প্রতিষ্ঠিত গ্রামীণ ব্যাংকের আদলে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণের লক্ষ্যে ২০১২ সালে কাজ শুরু করে গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন। এই কোম্পানির ছয় পরিচালকের একজন হলেন বাংলাদেশের মুহাম্মদ ইউনূস।
গ্লাসগোভিত্তিক এই প্রতিষ্ঠানটিতে এখন একজন কর্মকর্তা নিয়োগ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ, যিনি এখন এর সম্পত্তি বিক্রি করে দায়-দেনা পরিশোধের বন্দোবস্ত করবেন।
গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশনের পরিচালকরাই প্রতিষ্ঠানটিকে দেউলিয়া ঘোষণা করে বন্ধের আবেদন করেন বলে জানিয়েছেন দায়িত্বগ্রহণকারী কর্মকর্তা ব্রায়ান মিলনে।
তিনি বিবিসিকে বলেছেন, “গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন আর চলতে পারছিল না, এর বিতরণ করা ঋণ উদ্ধার অসম্ভব হয়ে পড়েছিল।”
গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন ক্ষুদ্রঋণ দিয়েছিল তাদের, যাদের প্রচলিত আর্থিক প্রতিষ্ঠানে যাওয়ার সুযোগ ঘটে না। এর লক্ষ্য ছিল, এভাবে ক্ষুদ্রঋণ দিয়ে প্রান্তিক মানুষদের অবস্থার উন্নতি ঘটানো।
বাংলাদেশে ক্ষুদ্রঋণ বিতরণে একই লক্ষ্য নিয়ে কাজ করার কথা জানায় গ্রামীণ ব্যাংক; তাদের বিতরণ করা ক্ষুদ্রঋণ আদায়ের সফলতার কথাই বড় করে দেখানো হয়। তবে এই ঋণ আদায়ের জন্য গ্রহিতাদের নানাভাবে নিপীড়নের অভিযোগও বিভিন্ন সময়ে আলোচনায় উঠেছে।
গ্রামীণ স্কটল্যান্ড ফাউন্ডেশন ঋণ দিয়েছিল প্রায় এক হাজার জনকে।
মিলনে বলেন, “গ্রহীতাদের কাছে প্রতিষ্ঠানটির প্রায় তিন লাখ পাউন্ড ঋণ আটকে গেছে। অনেক গ্রহীতা তাদের বকেয়া ঋণ পরিশোধ না করার তার বড় প্রভাব প্রতিষ্ঠানটির আর্থিক অবস্থার উপর পড়েছে, যা এটি বন্ধ হয়ে যাওয়ার মূল কারণ।”