মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর মরদেহ কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে আনা হয়েছে।
বৃহস্পতিবার (৮ মার্চ) বেলা ১১টায় সর্বস্তরের মানুষের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য মরদেহ শহীদ মিনারে আনা হয়। এসময় সর্বস্তরের মানুষ তাকে শ্রদ্ধা জানান। রাষ্ট্রীয় সম্মান গার্ড অব অনার দেওয়া হয়।
সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোটের সভাপতি গোলাম কুদ্দুছ গণমাধ্যমকে জানান, কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ১২টা পর্যন্ত শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হবে। এরপর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের কেন্দ্রীয় মসজিদে জানাজা শেষে মিরপুর শহীদ বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তাকে দাফন করা হবে।
গত মঙ্গলবার (৬ মার্চ) দুপুর দেড়টায় মৃত্যুবরণ করেন মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
তার ছেলে কারু তিতাস জানান, ‘গত ২৩ ফেব্রুয়ারি ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি করা হয় ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীকে। অর্থোপেডিক বিভাগের অধ্যাপক আমজাদ হোসেনের অধীনে চিকিৎসাধীন ছিলেন তিনি।’
দীর্ঘদিন ধরে উচ্চ রক্তচাপে ভুগছিলেন খ্যাতনামা এই মুক্তিযোদ্ধা ও ভাস্কর। এছাড়া ডায়াবেটিস ও কিডনি জটিলতায়ও ভুগছিলেন ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণী।
ফেরদৌসী প্রিয়ভাষিণীর জন্ম ১৯৪৭ সালের ১৯ ফেব্রুয়ারি খুলনায়। ১৯৭১ সালে তিনি পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর হাতে নির্মমভাবে নির্যাতিত হন। স্বাধীনতা যুদ্ধে তার অবদানের জন্য ২০১৬ সালে বাংলাদেশ সরকার তাকে মুক্তিযোদ্ধা খেতাব দেয়।
২০১০ সালে তিনি বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক সম্মাননা স্বাধীনতা পদক পান। তার আত্মজীবনীগ্রন্থ ‘নিন্দিত নন্দন’ প্রকাশিত হয় ২০১৪ সালে একুশের বইমেলায়।