সর্বসাধারণের শ্রদ্ধা নিবেদনের জন্য কবি বেলাল চৌধুরীর মরদেহ নেয়া হয়েছে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে গ্রামের বাড়ি ফেনীতে পারিবারিক কবরস্থানে তাকে দাফন করার কথা রয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে কিডনিজনিত রোগসহ বার্ধক্যজনিত রোগে ভুগছিলেন ষাটের দশকের আধুনিক কবি হিসেবে পরিচিত বেলাল চৌধুরী।
মঙ্গলবার দুপুরে রাজধানীর আনোয়ার খান মডার্ন হাসপাতালে চিকিৎসাধীন শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন।
পরে হাসপাতাল থেকে কবির মরদেহ নিয়ে যাওয়া হয় তার পল্টনের বাসায়। সেখানে গোসল শেষে মরদেহ রাখা হয় বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেলের হিমঘরে।
আজ সকাল সাড়ে ১০টায় কবির মরদেহ বাংলা একাডেমিতে নিয়ে যাওয়া হয়। পরে সেখান থেকে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার নেয়া হয়।
বেলাল চৌধুরী একাধারে কবি, সাংবাদিক, প্রাবন্ধিক ও অনুবাদক। দীর্ঘদিন বাংলাদেশের ভারতীয় হাইকমিশন থেকে প্রকাশিত ‘ভারত-বিচিত্রা’র সম্পাদক ছিলেন তিনি। রূপালী গ্রুপের ‘সাপ্তাহিক সন্দ্বীপ’ পত্রিকাটিও তিনি সম্পাদনা করেন।
বেশ কয়েক বছর ভারতের কলকাতায় অবস্থানকালে তিনি কবি সুনীল গঙ্গোপাধ্যায় সম্পাদিত সাহিত্য পত্রিকা ‘কৃত্তিবাস’-এ চাকরি করেন।
২০১৪ সালে তিনি একুশে পদক পান। পেয়েছেন বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কারও।
কবি বেলাল চৌধুরীর উল্লেখযোগ্য কাব্যগ্রন্থ হল ‘নিষাদ প্রদেশে’, ‘আত্মপ্রতিকৃতি’, ‘স্থিরজীবন ও নিসর্গ’, ‘স্বপ্নবন্দী’, ‘সেলাই করা ছায়া’, ‘কবিতার কমলবনে’, ‘যাবজ্জীবন সশ্রম উল্লাসে’ ও ‘বত্রিশ নম্বর’।