ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্ত লেবাননের গেরিলা গোষ্ঠী হিজবুল্লাহকে সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, তারা যুদ্ধ শুরু করলে লেবাননে ব্যাপক ধ্বংস ডেকে আনবে। যেমন ধ্বংসযজ্ঞ গাজায় হামাসের সঙ্গে ইসরাইলের লড়াইয়ে হয়েছে।
শনিবার ইসরাইল-লেবানন সীমান্তে ইসরাইলি প্রতিরক্ষা বাহিনীর ৯১ ডিভিশন সেনাদের পরিদর্শনকালে গ্যালান্ত এ মন্তব্য করেন বলে জানিয়েছে তার কার্যালয়।
তিনি বলেন, হিজবুল্লাহ লেবাননকে যুদ্ধের দিকে টেনে নিয়ে যাচ্ছে, যা ঘটতে পারে। তারা (হিজবুল্লাহ) যদি এ ধরনের কোনও ভুল করে, তার মূল্য প্রথমেই যাদেরকে চুকাতে হবে তারা হচ্ছে, লেবাননের সাধারণ মানুষ। আমরা গাজায় যা করছি, বৈরুতেরও তেমন দশা করব।
লেবাননের প্রভাবশালী রাজনৈতিক ও সশস্ত্র গোষ্ঠী হিজবুল্লাহর প্রধান হাসান নাসরুল্লাহ শনিবার ইসরাইলের বিরুদ্ধে রণাঙ্গণে সক্রিয় থাকার হুমকি দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, হিজবুল্লাহ সম্প্রতি কয়েকদিনে ইসরাইলে নতুন কয়েকটি নিশানায় হামলা করেছে এবং তাতে নতুন অস্ত্র ব্যবহার করেছে। লেবাননের একটি টেলিভিশনে সম্প্রচারিত এক ভাষণে নাসরুল্লাহ এ ঘোষণা দেন। এরপরই ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী এর প্রতিক্রিয়ায় লেবাননের রাজধানী বৈরুতকেও গাজায় পরিণত করার ওই হুমকি দেন।
নাসরুল্লাহ তার ভাষণে জানান, হিজবুল্লাহ সম্প্রতি ইসরাইলি শহর কিরয়াতে আঘাত হেনেছে। তিনি বলেন, এই ফ্রন্ট সক্রিয় থাকবে। অর্থাৎ, ইসরাইলের সঙ্গে হিজবুল্লাহর এ সংঘাত চলতে থাকবে।
এরপর ইসরাইলের সেনাবাহিনীও জানায়, তাদের জঙ্গি বিমান সীমান্তে লেবাননের বাহিনীর গোলার জবাবে পাল্টা গোলা ছুড়েছে। তাছাড়া, সিরিয়া থেকে হামলার জবাবেও ইসরাইল সেখানে পাল্টা হামলা চালিয়েছে।
গত ৭ অক্টোবর ইসরাইলে ঢুকে হামাসের নজিরবিহীন হামলায় ১ হাজার ৪০০ এর বেশি মানুষ নিহত এবং ২৪০ জন জিম্মি হওয়ার পর থেকেই সশস্ত্র এই ফিলিস্তিনি গোষ্ঠীকে নিশ্চিহ্ন করার প্রত্যয় নিয়ে গাজায় হামলা চালাচ্ছে ইসরাইলের সামরিক বাহিনী।
যুক্তরাষ্ট্রসহ পশ্চিমা দেশগুলোর সমর্থনে ইসরাইল গাজায় স্থল ও বিমান হামলা চালাচ্ছে। ৭ অক্টোবরে এ যুদ্ধ শুরুর পর থেকে এখন পর্যন্ত গাজায় প্রায় ১১ হাজার ফিলিস্তিনি নিহত হয়েছে।