যৌন নিপীড়নের অভিযোগে জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের পাবলিক হেলথ অ্যান্ড ইনফরমেটিকস বিভাগের সহকারী অধ্যাপক ও বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি মাহমুদুর রহমান ওরফে জনিকে স্থায়ীভাবে চাকরিচ্যুত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
মঙ্গলবার বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক মো. নূরুল আলমের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এক বিশেষ সিন্ডিকেট সভায় এ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। সভা শেষে রাত ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার আবু হাসান সাংবাদিকদের বলেন, তদন্ত কমিটির সুপারিশে সিন্ডিকেট সভায় সর্বসম্মতিক্রমে নৈতিক অসচ্চরিত্রতার দায়ে মাহমুদুর রহমান জনিকে চাকরি থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
২০২২ সালের ২১ নভেম্বর মাহামুদুর রহমানের বিরুদ্ধে তাঁর নিজ বিভাগের এক নারী প্রভাষকের অন্তরঙ্গ ছবি ফাঁস হয়। সেই সঙ্গে বিভাগের শিক্ষক পদে আবেদনকারী এক নারী শিক্ষার্থীর সঙ্গে ২৭টি কথোপকথন প্রকাশিত হয়। যেখানে মাহমুদুর রহমানের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক গর্ভপাত করানোর তথ্য উঠে আসে।
এরপর শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে ‘সত্যাসত্য যাচাই’ কমিটি গঠিত হয়। কমিটির প্রতিবেদন সিন্ডিকেটে তোলা হলে প্রতিবেদন পূর্ণাঙ্গ হয়নি বলে ‘স্পষ্টীকরণ’ কমিটি করা হয়। এই কমিটির প্রতিবেদনে প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেলে গত বছরের আগস্ট মাসে ‘স্ট্র্যাকচার্ড’ কমিটি করা হয়। স্ট্র্যাকচার্ড কমিটি হওয়ার ছয় মাস পর মঙ্গলবার জরুরি সিন্ডিকেট সভা থেকে শিক্ষক মাহামুদুর রহমানকে স্থায়ীভাবে বহিষ্কার করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে ৭ ফেব্রুয়ারি বিশ্ববিদ্যালয়ের নতুন কলা ভবনের দেয়ালে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের গ্রাফিতি মুছে ওই দেয়ালে ধর্ষণবিরোধী একটি গ্রাফিতি করার অভিযোগে ছাত্র ইউনিয়ন বিশ্ববিদ্যালয় সংসদের (একাংশ) সভাপতি অমর্ত্য রায় এবং সাধারণ সম্পাদক ঋদ্ধ অনিন্দ্য গাঙ্গুলিকে এক বছরের জন্য বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বহিষ্কার করা হয়েছে। সেই সঙ্গে তাঁদের দুজনের বিরুদ্ধে রাষ্ট্রীয় আইনে মামলা করা হবে বলে জানিয়েছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার ও সিন্ডিকেট সভার সদস্যসচিব আবু হাসান।