বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির দ্বি-বার্ষিক নির্বাচনে আবারো মিশা সভাপতি ও জায়েদ খান সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হয়েছেন। এছাড়া এ প্যানেলের সবাই ব্যাপক ভোটের ব্যবধানে জয়লাভ করেন।
সহ-সভাপতির পদে মনোয়ার হোসেন ডিপজল ও রুবেল নির্বাচিত হন। সহ-সাধারণ সম্পাদক পদে আরমান সাংগঠনিক সম্পাদক পদে সুব্রত, আন্তর্জাতিক বিষয়ক সম্পাদক পদে চিত্রনায়ক ইমন, দপ্তর ও প্রচার সম্পাদক পদে জ্যাকি আলমগীর, সংস্কৃতি ও ক্রীড়া সম্পাদক পদে জাকির হোসেন, কোষাধ্যক্ষ পদে ফরহাদ নির্বাচিত হয়েছেন। পাশাপাশি, সুব্রত, জ্যাকি আলমগীর এবং ফরহাদ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত হয়েছেন।
কার্যকরি পরিষদ সদস্যের ১১টি পদের জন্য প্রার্থী হয়েছিলেন ১৪ জন। এর মধ্যে নির্বাচিত হয়েছেন অঞ্জনা সুলতানা, রোজিনা, অরুণা বিশ্বাস, আলীরাজ, আফজাল শরীফ, বাপ্পারাজ, আসিফ ইকবাল, আলেকজান্ডার বো, জেসমিন, জয় চৌধুরী ও মারুফ।
নির্বাচিত হওয়ার পর গণমাধ্যমকে মিশা শওদাগর বলেন, 'সবার দোয়া ও ভালোবাসায় আবারও জয়ী হতে পেরেছি। চলচ্চিত্রের সব শিল্পী, কলাকুশলীসহ এফডিসির সবার কাছে আমি কৃতজ্ঞ। জয়ী হওয়ার পরই আমার প্রথম কাজ হবে ইশেতেহারে যা যা বলেছিলাম তার বাস্তবায়ন ঘটানো। শিল্পীদের সবাইকে নিয়ে চলচ্চিত্রের উন্নয়নে কাজ করে যাব। গতবার আমাদের যে কাজগুলো করা হয়নি সেগুলো এবার পূরণ করব।'
সাধারণ সম্পাদক জায়েদ খান বলেন, 'চলচ্চিত্র শিল্পীরা যাতে সম্মানের সঙ্গে মাথা উঁচু করে বাঁচতে পারে, আমরা সেই ব্যবস্থা করব। শিল্পীরা কেউ হারেনি। আমরা আগামীতে যেন বিগত বছরের কাজের গতিটা ধরে রাখতে পারি সবার কাছে এই দোয়াই চাই। শিল্পী সমিতির সব ভোটারদের কাছে আমি কৃতজ্ঞ। তারা আমাদের প্যানেলকে ভালোবেসে ও বিশ্বাস করে আবারও ভোট দিয়ে জয়ী করেছেন। এবার আমাদের উন্নয়নের পথে এগিয়ে যাওয়ার পালা।'
উৎসবমুখর পরিবেশের মধ্য দিয়ে শেষ হলো বাংলাদেশ চলচ্চিত্র শিল্পী সমিতির ভোট গ্রহণ। গতকাল সকাল ৯টায় বিএফডিসিতে ভোট গ্রহণ শুরু হয় এবং তা শেষ হয় বিকাল ৫টা ২৬ মিনিটে। উন্মুক্তভাবে ভোট গণনা করা হয়।
২০১৯-২১ মেয়াদের নির্বাচনে মোট ভোটার সংখ্যা ৪৪৯। কাস্ট হয়েছে ৩৮৬টি ভোট।