উৎসবে, উপলক্ষে শাড়ির সাথে মিলিয়ে চুড়ি পরাটাই অলিখিত নিয়ম। একদিনে তৈরি হয়নি শাড়ি-চুড়ির এ সংবিধান। নৈমিত্তিক শরীরাবরণ থেকে এখন শাড়ির ডাক পড়ে উৎসবে। কিন্তু চুড়ির আবেদন ঠিকই রয়ে গেছে।
চুড়ি পছন্দ করে না এমন বাঙালি মেয়ে খুঁজে পাওয়া ভার। পহেলা বৈশাখ, চৈত্র সংক্রান্তি, ঈদ, পূজা, পহেলা ফাল্গুন, একুশে ফেব্রুয়ারি, ভালবাসা দিবস, সরস্বতী পূজার মত উৎসবে চুড়ি ছাড়া একদমই চলে না। একদিন পরেই পহেলা বৈশাখ। তবে জেনে নেয়া যাক বিভিন্ন রকম চুরি সম্পর্কে কিছু তথ্য।
প্লেইন রেশমি:
লাল, নীল, হলুদ, সবুজ, সাদা, কালো প্রায় সব রঙেই পাওয়া যায় নকশা বা খাঁজ ছাড়া স্বচ্ছ কাচের রেশমি চুড়ি। প্লেইন রেশমি চুড়ির দাম ডজন ৩০ থেকে ৪০ টাকা। ঢেউ খেলানো রেশমি চুড়ির উপরিতলে খাঁজকাটা নকশা থাকে। খাঁজকাটা নকশার কারণে সাধারণ রেশমি চুড়ির থেকে এ ধরনের চুড়ি আলাদা। এই রেশমি চুড়ি প্রতি ডজন ৩০ থেকে ৫০ টাকা।
রেশমি জরি:
রেশমি চুড়ির ওপর জরির নকশা করা চুড়িও পাবেন। এসব রেশমি চুড়ির ওপর সাদা, সোনালি, লাল জরি বসানো। চুড়ির রঙের সঙ্গে ম্যাচিং বা বিপরীত রঙা জরি ব্যবহৃত হয়। ডজনপ্রতি চুড়ির দাম ৫০ থেকে ৮০ টাকা।
ঝুমকা রেশমি:
দুই বা চার ডজন মিলিয়ে সেট করা হয় এসব চুড়ি। চুড়ি সমানভাবে ভাগ করে চুড়ির নিচে দুই বা চারটি ঝুমকা থাকে। সাধারণত গায়েহলুদ বা বিয়ের অনুষ্ঠানে এ ধরনের চুড়িই পরতে দেখা যায়। ঝুমকা রেশমির দাম নকশার ওপর নির্ভর করে। তবে ৫০০ টাকার মধ্যে পাওয়া যাবে।
বাটিক রেশমি:
রেশমি চুড়ির মধ্যে দুই ধরনের রঙের সংমিশ্রণ দেখা যায় বাটিক রেশমি চুড়িতে। এ ধরনের চুড়িতে প্রথম চুড়িটি উজ্জ্বল সবুজ হলে পরেরটি হালকা সবুজ হয়। ডজন হিসেবে পাওয়া যায়। দাম দোকানভেদে ৫০ থেকে ১০০ টাকা।
রেশমির বালা:
দুই বা তিনটি চুড়ি একসঙ্গে আঠা দিয়ে জোড়া দিয়ে তার ওপর আলাদা প্লাস্টিকের পাত বসিয়ে বালার মতো দেখতে এসব রেশমি বালা। বৈচিত্র্য আনতে জরি, চুমকি, কুন্দন ইত্যাদির নকশা আছে। এ ধরনের বালা প্রতি জোড়া ডিজাইনভেদে ৮০ থেকে ১৫০ টাকা।
কোথায় পাবেন?
চকবাজার, নিউ মার্কেট, গাউসিয়া, মিরপুর, মৌচাক, বেইলি রোডের প্রসাধনীর দোকানগুলোতে রেশমি চুড়ি পাবেন। এ ছাড়া চারুকলার গেট, ইডেন কলেজ, টিএসসি, শাহবাগের ফুটপাতেও রেশমি চুড়ি কিনতে পারবেন।