ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্কর বলেছেন, ‘পারস্পরিক সুবিধার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক বর্তমানে একটি মডেলে পরিণত হয়েছে। দুই দেশ স্থল ও সামুদ্রিক সীমান্ত সমস্যা মিটিয়ে ফেলেছে।’
লন্ডনে ভারতীয় হাইকমিশনে সাংবাদিক লিওনেল বারবারের সঙ্গে আলাপকালে বাংলাদেশের হাইকমিশনার সাইদা মুনা তাসনীমের এক প্রশ্নের জবাবে ভারতীয় মন্ত্রী এসব মন্তব্য করেন।
জয়শঙ্কর এদিন সংযোগ সহযোগিতা, জ্বালানি সরবরাহ ও বন্দরের ব্যবহার তুলে ধরেন। বাংলাদেশ ও ভারতের সম্পর্ক মডেল হিসেবে দাঁড়িয়েছে বলেও উল্লেখ করেছেন ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। তিনি গতকাল বুধবার যুক্তরাজ্যে তার পাঁচ দিনের সফর শেষ করেছেন।
অন্যদিকে, বৃহস্পতিবার সাপ্তাহিক ব্রিফিংয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র সেহেলী সাবরিন বলেছেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার পররাষ্ট্র ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী পর্যায়ের টু প্লাস টু সংলাপের ধারণাগত সূত্রপাত ২০১৭ সালে। পরে ২০১৮ সালের সেপ্টেম্বরে প্রথমবারের মতো এই সংলাপ অনুষ্ঠিত হয় ভারতের নয়াদিল্লিতে। টু প্লাস টু সংলাপটি মূলত ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যকার সার্বিক দ্বিপক্ষীয় স্বার্থসংশ্লিষ্ট বিষয়াবলি আলোচনার একটি প্ল্যাটফর্ম হিসেবে পরিচিত।’
তিনি আরও বলেন, ‘ভারত ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে অনুষ্ঠিত এই সংলাপে রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তা সংশ্লিষ্ট নানান বিষয় নিয়ে বিশদ আলোচনা হয়। সেই আলোচনায় বৃহত্তর বৈশ্বিক, আঞ্চলিক ও উপআঞ্চলিক নিরাপত্তা ও ভূ-রাজনৈতিক স্থিতিশীলতার নানান দিক উঠে আসা স্বাভাবিক। আলোচনার বিষয়বস্তু হিসেবে কী আসবে, না আসবে তা এই দু’দেশের নিজস্ব ব্যাপার।।’
তিস্তা চুক্তি বিষয়ে বাংলাদেশ ভারত থেকে কোনো বার্তা পেয়েছে কি না- এ প্রশ্নের জবাবে সেহেলী সাবরীন জানান, ‘আপনারা জানেন তিস্তা নদীর পানি বণ্টনসংক্রান্ত চুক্তির ব্যাপারে ঐকমত্যে পৌঁছাতে বাংলাদেশ তার প্রচেষ্টা অব্যাহত রেখেছে। এ পরিপ্রেক্ষিতে কোনো অগ্রগতি হলে তা যথাসময়ে আমরা আপনাদের জানাব।’