সারাদেশে প্রাথমিক সমাপনী (পিইসি) পরীক্ষায় বহিষ্কার হওয়া শিশু শিক্ষার্থীদের ২৮ ডিসেম্বরের মধ্যে পরীক্ষা নিতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে ৩১ ডিসেম্বরের মধ্য ফল প্রকাশ করতে বলা হয়েছে। বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ বুধবার এ আদেশ দেন।
তবে প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব রুলের জবাব না দেয়ায় আদালত অসন্তোষ প্রকাশ করেন।
এছাড়া বহিষ্কারের সংখ্যাসহ তথ্যাদি না জানানোয় প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালককে তলব করেছেন আদালত। ৮ জানুয়ারি তাকে আদালতে হাজির হতে নির্দেশ দেয়া হয়েছে।
আজ রাষ্ট্রপক্ষে শুনানী করেন ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল অমিত তালুকদার।
প্রাথমিক ও ইবতেদায়ি শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় বিভিন্ন স্থানে এ বছর ১৫ শিশুকে বহিষ্কার করা হয়েছে।
‘পিইসি পরীক্ষায় শিশু বহিষ্কার কেন’– এ শিরোনামে একটি জাতীয় দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। প্রতিবেদনটি আদালতের নজরে এনে এ-বিষয়ে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা চান সুপ্রিমকোর্টের আইনজীবী এ এম জামিউল হক। শুনানি নিয়ে আদালত ২১ নভেম্বর রুল দেন।
রুলে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের ৫ম শ্রেণি ও মাদ্রাসার পঞ্চমের শিক্ষার্থীদের পরীক্ষায় বহিষ্কার করা কেন অবৈধ হবে না, তা জানতে চান হাইকোর্ট। একই সঙ্গে বহিষ্কার হওয়া শিশুদের পুনরায় পরীক্ষা নিতে কেন নির্দেশ দেয়া হবে না, তা-ও জানতে চাওয়া হয়। প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের সচিব, প্রাথমিক শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, প্রাথমিক শিক্ষা একাডেমির মহাপরিচালক, মাদ্রাসা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যানকে দুই সপ্তাহের মধ্যে রুলের জবাব দিতে বলা হয়।