করোনার কারনে বাজারে ক্রেতা নেই, বিক্রি করতে পারছেন না তাদের মাঠের ফসল। বিক্রি করার জন্য হাট-বাজারে নেই পরিবেশ। লকডাউনে পড়ে কৃষকের ক্ষেতের শাক-সবজিসহ অনান্য ফসল এখন ঘরেই নষ্ট হচ্ছে। তাইতো ডাকসু জিএস ও ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী এগিয়ে এসেছেন এই পরিস্থিতি অবসানের জন্য। তিনি আজ ধামরাইয়ের চরসিন্দুরিয়া গ্রামে ফসলের মাঠে যান কৃষকের খোঁজ খবর নিতে। ন্যায্য মূল্যে কিনে নিলেন কৃষকের শাক-সবজি। হাসি ফুঁটে উঠেছে কৃষকের মুখে।
সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে দুপুরের খড়তাপে গোলাম রাব্বানী ছুঁটে যান ধামরাইয়ের বিভিন্ন এলাকায় ফসলি খেতে। সেখানে তিনি সরাসরি মাঠে নেমে কৃষকের ফসলের বিক্রয়ের অবস্থা জানতে চান। কৃষকরা জানান ‘করোনার কারনে বাজারে ক্রেতা নেই। বিক্রি করতে পারছেন না তাদের মাঠের ফসল। তাইতো লাউ, বেগুন, ঢেঁরষ, মিষ্টি কুমড়াসহ অন্যান্য সবজি পঁচে যাচ্ছে’।
ধামরাই কৃষকদের বেহাল অবস্থার অবসান ঘটালেন গোলাম রাব্বানী। তিনি তাৎক্ষনিকভাবে ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীদের সাথে নিয়ে একটি ক্ষেতের পুঁই শাক কেটে পুরো ক্ষেতসহ কিনে নেন। এরপর এক কৃষকের বাড়ি গিয়ে তিনি তাঁর প্রায় পাঁচ শতাধিক মিষ্টি কুমড়া কিনে নেন। এভাবে তিনি লাউ, বেগুন, ঢেঁরষ সহ বিভিন্ন শাক-সবজি ক্রয় করে কৃষককে ন্যয্যমূল্য প্রদান করেন।
ডাকসুর জিএস ও বাংলাদেশ ছাত্রলীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক গোলাম রাব্বানী জানান, করোনা ভাইরাসের সংক্রমন ঠেকাতে সারাদেশে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও হাট-বাজার বন্ধ রয়েছে। এ সময় এসব কৃষকদের ফসল নিয়ে তাঁরা বিপাকে পড়েছেন। এই অবস্থা থেকে উত্তরণের জন্য সকল সামর্থবান ব্যক্তিকে ভূমিকা রাখতে হবে। তাই আমি ধামরাইয়ের কয়েকটি গ্রামের ফসলের ক্ষেতের সকল শাক-সবজি কিনে নিয়েছি। এসব শাক-সবজি অসহায় ও দরিদ্র পরিবারের মাঝে নিয়মিত বিতরণ করা হচ্ছে।
গোলাম রাব্বানীর সাথে উপস্থিত ছিলেন, সাভার উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি আতিকুর রহমান আতিক, ছাত্রলীগ নেতা রাজিম ভূঁইয়া মিশু, সাভার কলেজ ছাত্রলীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক নিজাম উদ্দিন টিপু, সাভার উপজেলা সেচ্ছা সেবক লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুর রহমান জাহিদসহ অনেকে।