নালিতাবাড়ী (শেরপুর) প্রতিনিধি ॥ ‘সাথের সাথী ব্যথার ব্যথি ফাতেমা রাণী মা মারিয়া’ এ মূল সুরকে ধারণ করে শেরপুরের নালিতাবাড়ী উপজেলার সীমান্তবর্তী বারমারী সাধু লিও’র খ্রিষ্টধর্মপল্লীর ফাতেমা রাণীর তীর্থস্থানে ২৬ অক্টোবর বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হচ্ছে খ্রিষ্টভক্তদের দু’দিনব্যাপি ২০তম বাৎসরিক তীর্থ উৎসব। ওই উৎসব উপলক্ষে ইতোমধ্যে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদারকরণসহ সকল প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। উৎসবে এবার দেশি-বিদেশি মিলে প্রায় ৪০ হাজার খ্রিষ্টভক্ত অংশ গ্রহণ করবেন বলে আশা করা হচ্ছে।
তীর্থ উদযাপন কমিটির সমন্বয়কারী পালপুরোহিত রেভারেন্ট ফাদার মনিন্দ্র এম. চিরান জানান, এবারের তীর্থ উৎসব পালিত হবে। বৃহস্পতিবার বেলা আড়াইটায় পাপ স্বীকারের মধ্যদিয়ে তীর্থ উৎসব শুরু হবে। রাতে রয়েছে বিশাল আলোর মিছিল। ওই মিছিলে হাজার হাজার খ্রিষ্টভক্তরা মোমবাতি জ্বালিয়ে প্রায় ২ কিলোমিটার পাহাড়ি পথ অতিক্রম করে দেশের সর্ববৃহৎ ৪৮ ফুট উচু মা মারিয়ার মূর্তির কর কমলে ভক্তিশ্রদ্ধা জানাবেন। এছাড়াও সান্ধ্যকালীন খ্রিষ্টযাগ, ম্যাগাজিনের মোড়ক উন্মোচন, গীতি আলেখ্য ও নিশি জাগরন অনুষ্ঠিত হবে। পরের দিন শুক্রবার বেলা ১২টায় জীবন্ত ক্রুশের পথ ও মহা খ্রিষ্টযাগের মধ্যদিয়ে দু’দিনব্যাপি তীর্থ উৎসবের সমাপ্তি হবে।
বারমারী খ্রিষ্টধর্মপল্লীর সহ-সভাপতি ও নালিতাবাড়ী ট্রাইবাল ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের (টিডব্লিওএ) চেয়ারম্যান লুইস নেংমিনজা জানান, এবারের তীর্থ উৎসবে বাংলাদেশের প্রধান খ্রিষ্টধর্মগুরু কার্ডিনাল পেট্রিক ডি রোজারিও সিএসসি প্রধান বক্তা হিসেবে উপস্থিত থাকবেন। এছাড়া তাকে সহযোগিতা করবেন ময়মনসিংহ খ্রিষ্টধর্ম প্রদেশের বিশপ পনেন পৌল কুবি সিএসসি। এতে দেশি-বিদেশি প্রায় ৪০ হাজার খ্রিষ্টভক্ত অংশ গ্রহন করবেন। তিনি আরও জানান, ইতোমধ্যেই ২০তম তীর্থ উৎসব পালনের সব প্রস্তুতি সম্পন্ন হয়েছে। আইন শৃংঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকলের সহযোগিতাও কামনা করেন তিনি।