তীব্র বিচারক সংকটে নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী

Post Image

অ্যাডভোকেট শাহানূর ইসলাম সৈকত: তীব্র বিচারক সংকটের মাঝেও বিচার প্রার্থীদের ন্যায় বিচার প্রাপ্তিতে নিরলস প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে নওগাঁ জেলা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসী। চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, এডিশনাল  চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট, সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট ও জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের ১১টি বিচারক (ম্যাজিস্ট্রেট) পদের বিপরীতে নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে বর্তমানে ২ জন বিচারক (ম্যাজিস্ট্রেট) কর্মরত রয়েছে। 

নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীর বিচারক (ম্যাজিস্ট্রেট) সংকট দীর্ঘ দিনের হলেও এ বছর মে মাসে চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জুন মাসে ২ জন সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের পদোন্নতি জনিত বদলীর কারণে সে সংকট তীব্র থেকে তীব্রতর আকার ধারণ করেছে। ফলে আপ্রাণ প্রচেষ্টা স্বত্ত্বেও কোন ভাবে মামলা জট নিরসন সম্ভব হচ্ছে না, বরং দিনকে দিন তা বৃদ্ধি পেয়ে চলেছে।

বর্তমানে কর্মরত এডিশনাল চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব জাহাঙ্গীর আলম চীফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেটের এখতীয়ারাধীন প্রশাসনিক দায়িত্ব পালনের পাশাপাশি ৫টি আমলী আদালত এবং ৫টি বিচারিক আদালত, মোট ১০টি আদালতের দায়িত্ব পালন করছে। তাছাড়া সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট জনাব সিরাজুল ইসলাম ৬টি আমলী আদালত ও ৬টি বিচারিক আদালত, মোট ১২টি আদালতের দায়িত্ব পালন করছেন।

১১ জন বিচারকের (ম্যাজিস্ট্রেট) বিপরীতে কর্মরত ২ জন বিচারক (ম্যাজিস্ট্রেট) কর্মরত থাকা স্বত্তেও নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যজিস্ট্রেসীতে এ বছর জুলাই মাসে সর্বমোট ১২৫০টি মামলা নিষ্পত্তি হয়েছে। যদিও ১১টি থানা সমন্বয়ে গঠিত নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে ১১টি আমলী আদালত এবং ১১টি বিচারিক আদালতে এ বছর জুলাই মাসের শুরুতে সর্বমোট ১৯,২৬৯টি মামলা বিচারাধীন ছিল এবং আগস্ট মাসের শুরুতে যা বৃদ্ধি পেয়ে ১৯,৪২২টি মামলায় উত্তীর্ণ হয়।

জুলাই মাসে নিশপত্তিকৃত মামলার মধ্যে বিচার শেষে ১১৪টি মামলায় রায় প্রদান করেছে, যার মধ্যে ২৭টি মামলায় অভিযুক্ত আসামীদের শাস্তি প্রদান করেছে এবং ৮৭টি মামলায় অভিযুক্ত আসামিদের খালাশ প্রদান করেছে।  তাছাড়া, জুলাই মাসে ৯৩৫টি মামলা দায়েরের মাধ্যমে এবং ৪৬৮টি মামলা অন্যভাবে প্রাপ্তির মাধ্যমে সর্বমোট ১৪০৩টি মামলা নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে নতুনভাবে অন্তর্ভূক্ত হয়েছে। 

এখানে বিশেষভাবে উল্লেখ্য যে নওগাঁ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেসীতে তীব্র বিচারক সংকটের পরও মামলা নিষ্পত্তির হার প্রায় ৯০ শতাংশ এবং মামলা জট বৃদ্ধির হার .৭৯ শতাংশেরও কম, যা অবশ্যই প্রসংশার যোগ্য।