রাজধানীতে তিন কিশোরী ধর্ষণের অভিযোগে পৃথক দুটি মামলা হয়েছে। কদমতলী থানার মামলায় গ্রেপ্তার এক যুবককে দুই দিন রিমান্ডে নেওয়ার অনুমতি দিয়েছেন আদালত। ওয়ারী থানায় করা মামলায় ধর্ষণের শিকার দুই কিশোরী আদালতে জবানবন্দি দিয়েছেন। কোনো আসামি গ্রেপ্তার হননি। আদালত ও থানা সূত্রে এ তথ্য জানা গেছে।
কদমতলী থানায় করা মামলার এজাহারে বলা হয়েছে, ধর্ষণের শিকার এই কিশোরী রাজধানীর কদমতলী এলাকার একটি স্কুলের অষ্টম শ্রেণির ছাত্রী। তার মা বিদেশে থাকেন। বাবা তার দেখাশোনা করেন না। মামার বাসায় থেকে লেখাপড়া করেন এই ছাত্রী। এক যুবক প্রেমের প্রস্তাব দিলে ও ছাত্রী তা নাকচ করে দেন। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে ১৪ মার্চ অপহরণ করে শ্যামপুর এলাকার একটি বাসায় আটক রেখে ওই যুবক তাকে ধর্ষণ করেন। পরে পুলিশের তৎপরতা বেড়ে গেলে ১৫ মার্চ শনিরআখড়া এলাকায় ফেলে রেখে পালিয়ে যায়। পরে তাকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস সেন্টারে (ওসিসি) ভর্তি করা হয়।
আসামিকে আদালতে হাজির করে পুলিশ সাত দিনের রিমান্ডে নেওয়ার আবেদন করে কদমতলী থানার পুলিশ। ওই আবেদনে বলা হয়, প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আসামি ধর্ষণের কথা স্বীকার করেছেন। তবে অপহরণের সঙ্গে জড়িত আসামিদের গ্রেপ্তারের জন্য আসামিকে রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করা জরুরি। আদালত দুই দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করেন।
অন্যদিকে দুজন কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগে করা মামলার বাদী এজাহারে বলেছেন, তাঁর মেয়ে ও বাসার কাজের মেয়েকে গত ১০ মার্চ রাজধানীর একটি হোটেলে নিয়ে ধর্ষণ করেন আসামিরা। বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে তাঁদের ধর্ষণ করা হয়। আদালত সূত্র নিশ্চিত করেছে, এ মামলার দুই আসামি পলাতক। তবে দুই কিশোরী আদালতে হাজির হয়ে আজ জবানবন্দি দিয়েছেন।