গ্রেফতার করবো না তো কী করবো, প্রশ্ন প্রধানমন্ত্রীর

Post Image

দেশব্যাপী চলমান গ্রেফতার অভিযান নিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, তাদের (বিএনপি-জামায়াত) আমরা গ্রেফতার করবো না তো কী করবো। আবার অনেকে বলে তাদের কেন গ্রেফতার করা হচ্ছে। প্রশ্ন হচ্ছে, ওই সব দেশে যদি করতো তাহলে তারা কী করতো? তাদের দেশে কী করছে সেটা আমরা জানি, দেখছি।

শেখ হাসিনা বলেন, যারা এভাবে মানুষ মারবে, অগ্নিসন্ত্রাস করবে, মানুষকে নির্যাতন করবে, অবশ্যই তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে হবে। কারণ, মানুষের জানমাল রক্ষা করা এটা আমাদের দায়িত্ব। আমরা সরকারে আছি, এটা আমাদের কর্তব্য।

প্রধানমন্ত্রীর পদত্যাগ ও নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে বিএনপি-জামায়াতের আন্দোলন প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বলেন, আমাদের সরকারকে উৎখাত করতে হবে! পদত্যাগ করতে হবে! কী কারণে? আমরা তো বিএনপির ওপর কোনও গ্রেনেড হামলাও করিনি বা কোনও অত্যাচারও করিনি।

বিএনপির আন্দোলনের সঙ্গে আওয়ামী লীগের আন্দোলনের তুলনা করে তিনি বলেন, আমরা তো আন্দোলন করেছি, আমরা তো এ রকমভাবে মানুষকে পুড়িয়ে উল্লাস করে আন্দোলন করিনি। আমাদের আন্দোলনের একটা গণতান্ত্রিক ধারা ছিল। সেই গণতান্ত্রিক আন্দোলনের মাধ্যমে গণতন্ত্রকে ফিরিয়ে এনেছি। আজ দেশকে অর্থনৈতিক উন্নয়নের পথে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছি।

সহিংসতার বিরুদ্ধে দেশবাসীকে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের অগ্রযাত্রা যেন কোনোমতেই থেমে না যায়। আজকে যারা সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ড ঘটাচ্ছে তাদের বিরুদ্ধে প্রতিরোধ গড়ে তুলতে হবে।

বিএনপির সমালোচনা করে শেখ হাসিনা বলেন, দেশের মানুষ যখন শান্তিতে তখন এই বিএনপি আবার রাস্তায় নেমেছে অগ্নিসন্ত্রাস নিয়ে অশান্তি সৃষ্টি করতে। এই অশান্তির হাত থেকে দেশকে বাঁচাতে হবে, দেশের মানুষকে বাঁচাতে হবে।

চরম ডানপন্থি-বামপন্থি একই সুরে কথা বলে কীভাবে

চলমান সরকারবিরোধী আন্দোলনে ডানপন্থি ও বামপন্থির রাজনৈতিক দলগুলোর অংশগ্রহণের প্রতি ইঙ্গিত করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশে একটা অদ্ভুত জিনিস দেখলাম, নীতি-আদর্শ, আমি জানি না আদর্শ-নীতি গুলিয়ে গেলো কেন? আমরা দেখি চরম বামপন্থিরা ডানপন্থিদের সঙ্গে এক হয়ে গেল। চরমপন্থি ডানপন্থি জামায়াতে ইসলামী থেকে শুরু করে বামপন্থি কমিউনিস্ট, এত দিন যারা আদর্শের কথা বলেছে তারা সব একই সঙ্গে, একই সুরে, একই কথা বলে কীভাবে? তারা এক হয়ে মিলে আওয়ামী লীগের বিরুদ্ধে। আওয়ামী লীগ অপরাধটা কী করেছে সেটা জানতে চাই। দেশবাসীর কাছে প্রশ্ন আওয়ামী লীগের অপরাধ কী?

পোশাক শ্রমিকদের রাস্তায় নামানো হয়েছে

পোশাক শ্রমিকদের আন্দোলন নিয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি পোশাক শ্রমিকদের কথা একটু বলি। আজ তাদের রাস্তায় নামানো হয়েছে। আমার কাছে খবর আছে, তাদের (শ্রমিক) এভাবে রাস্তায় নামাবে এবং ওরাই তাদের এজেন্ট ঢুকাবে, ওদের ক্ষতি করবে। দরকার হলে লাশ ফেলবে এবং দেশের অবস্থা আরও অস্থিতিশীল করবে। অনেক জায়গায় অনেক কিছু চেষ্টা করে যখন পারেনি, তখন এই কাণ্ডটা।

পোশাক শ্রমিকদের মজুরি বৃদ্ধিতে আওয়ামী লীগ সরকারের উদ্যোগের কথা তুলে ধরেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গত ১৪ বছরে ১৬শ’ টাকা মজুরি থেকে ৮ হাজার ৩শ’ টাকা তাদের মজুরি দিয়েছি। আর বর্তমানে আবার সেটা বৃদ্ধি করে ১২ হাজার ৫০০ টাকা করা হয়েছে। আবার প্রতি বছরে ৫ শতাংশ করে ইনক্রিমেন্ট হয়।

পোশাক শ্রমিকদের উদ্দেশে তিনি বলেন, যেটা বাড়ানো হয়েছে তা নিয়েই তাদের কাজ করতে হবে।