শ্রীনগরে অজ্ঞাত পরিচয় দুষ্কৃতিদের গুলিতে প্রাণ হারালেন বর্ষীয়ান সাংবাদিক সুজাত বুখারি। খবর-এনডিটিভি
‘রাইজিং কাশ্মীর’ পত্রিকার সম্পাদক সুজাত বুখারি বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় প্রেস কলোনির অফিস থেকে বেরোনোর সময়ই অজ্ঞাতপরিচয় দুষ্কৃতিরা গুলি চালায় তাঁর ওপর। খুব সামনে থেকে একাধিক গুলি চালিয়ে একেবারে ঝাঁঝরা করে দেওয়া হয় তাঁর দেহ। তাঁর দুজন দেহরক্ষীও গুলিবিদ্ধ হয়েছেন।
দীর্ঘ সময় বাদে কাশ্মীরে কোনও সাংবাদিকের ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটল। এই ঘটনাসাংবাদিকদের মধ্যেও তুমুল আলোড়নের সৃষ্টি করেছে।
“এটি সংবাদ মাধ্যমের স্বাধীনতার ওপর আক্রমণ”। বলেন কাশ্মীর টাইমসের এক্সিকিউটিভ এডিটর অনুরাধা জামওয়াল।
“এটি অত্যন্ত দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। সন্ধ্যে ৬:৩০ নাগাদ তিনি যখন অফিস থেকে বেরোচ্ছিলেন, ওই সময় তিনজন জঙ্গি বাইকে করে এসে তাঁর ওপর একের পর এক গুলি চালা। তাঁর দুজন ব্যক্তিগত নিরাপত্তারক্ষীও গুলিবিদ্ধ হন। তাঁদের মধ্যে একজন আর বেঁচে নেই। আরেকজন মৃত্যুর সঙ্গে পাঞ্জা লড়ছেন। কিছু বুঝে ওঠার আগেই তাঁদের ওপর গুলি চালানো হয়”, জম্মু ও কাশ্মীরের পুলিশ প্রধান এস পি বৈদ্য এনডিটিভিকে এই কথা বলেন।
“জঙ্গিরা ইফতারের সময়টাকেই বেছে ছিল এই হত্যার জন্য। ওরা জানত এই সময়টা সবাই নিজের বাড়ি চলে যায়। এই ঘটনার সঙ্গে কারা কারা জড়িত তা আমরা খতিয়ে দেখব”, বলেন তিনি।
২০০০ সালে তাঁর ওপর আক্রমণের ঘটনা ঘটার পর থেকেই পুলিশি নিরাপত্তা পান সুজাত বুখারি।
রাজনাথ সিং এই মাসের শেষের দিকে শুরু হওয়া অমরনাথ যাত্রায় তীর্থযাত্রীদের নিরাপত্তা সংক্রান্ত মিটিং করার কয়েক ঘন্টার মধ্যেই এই ঘটনা ঘটল।
প্রেস ক্লাব অব ইন্ডিয়ার তরফ থেকে তীব্র ভাষায় এই ঘটনার নিন্দা করা হয়েছে।
সূত্র জানিয়েছে, রাজনাথ সিংহের শান্তি-উদ্যোগ এবং যুদ্ধবিরতি রমজান শেষ হওয়ার পর আর বাড়ানো হবে না বলেই মনে করা হচ্ছে।
জাতীয় নিরাপত্তা উপদেষ্টা অজিত ডোভাল ইঙ্গিত দিয়েছেন এই শান্তি প্রস্তাব কেবল ঈদ পর্যন্তই সীমাবদ্ধ থাকবে।