এম নজরুল ইসলাম, ময়মনসিংহঃ ময়মনসিংহের মুক্তাগাছা উপজেলায় করোনার প্রভাবে কর্মহীনদের মাঝে সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী উদ্যোগে গত শুক্রবার দুল্লা ও বড়গ্রাম এবং ঘোগা ইউনিয়নে ১হাজার ৯শত ৫০টি অসহায় পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে করোনা পরিস্থিতির কারণে কর্মহীন হয়ে পড়া গরীব দুস্থদের খাদ্য সহায়তায় এগিয়ে এলেন সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী আলহাজ্ব কে এম খালিদ এম পি। ইতিমধ্যে কর্মহীনদের তালিকা প্রস্তুত করেছেন। করোনা ভাইরাসের প্রাদুর্ভাব মোকাবেলায় চলমান লকডাউন পরিস্থিতিতে দরিদ্র, অসহায়, দুস্থ, দিনমজুর, অসচ্ছল মুক্তিযোদ্ধা, শ্রমিক শ্রেণির মানুষ কর্মহীন হয়ে পড়ায় সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ এমপি’র ব্যক্তিগত উদ্যোগে তাঁর নির্বাচনী এলাকা ময়মনসিংহের মুক্তাগাছায় ১০হাজার পরিবারের মাঝে বিতরনের উদ্যোগ নিয়েছেন। ইতিমধ্যে মুক্তাগাছা পৌরসভার প্রতিটি ওয়ার্ডের ১৫০টি করে ১৩৫০টি পরিবারের মাঝে দ্বিতীয়বারের মতো খাদ্যদ্রব্য ও নিত্য প্রয়োজনীয় সামগ্রী বিতরণ করা হয়েছে। এছাড়াও প্রতিটি ইউনিয়নে ৬৫০টি পরিবার হিসেবে ১০টি ইউনিয়নে ৬৬৫০টি পরিবারের মধ্যে বিতরণ কাজ চলছে। এরই অংশ হিসেবে গত বৃহস্পতিবার দুল্লা ও বড়গ্রাম ইউনিয়নে ১হাজার ৩শত অসহায় পরিবারকে ত্রাণসামগ্রী বিতরণ করা হয়।
সংস্কৃতি প্রতিমন্ত্রীর পক্ষে অসহায় মানুষের মাঝে ত্রাণ সামগ্রী বিতরণে, মুক্তাগাছা উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক বিল্লাল হোসেন সরকার এর নেতৃত্বে সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন ও ওয়ার্ড আওয়ামীলীগ এবং অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতৃবৃন্দ। এসময় প্রতি পরিবারকে ১০ কেজি চাল, ১ কেজি ডাল, ১ কেজি তেল, ১ কেজি লবণ. ১টি সাবানসহ নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যাদি বিতরণ করা হয়।
সংস্কৃতি বিষয়ক প্রতিমন্ত্রী কে এম খালিদ দেশবিডি.২৪কম কে জানান, পৌরসভায় ৩হাজার এবং দুল্লা ও বড়গ্রাম এবং ঘোগা ইউনিয়নে ১হাজার ৯শ ৫০টি পরিবারের মাঝে বিতরণ করা হয়েছে।বাকী ইউনিয়ন গুলোর তালিকা তৈরীর কাজ শেষ হয়েছে এবং প্রতিদিন তালিকা ভুক্ত গরিব ও অসহায় পরিবারের মাঝে খাদ্য সামগ্রী বিতরণ করা হবে। তিনি আরো জানান, যতদিন করোনা ভাইরাসের প্রভাব থাকবে, ততদিন ত্রাণ বিতরন কার্যক্রম চলমান থাকবে-ইনশাআল্লাহ।