কক্সবাজারে গোসলে নেমে চার স্কুলছাত্র নিহত

Post Image

আজ শনিবার বিকেলে কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে ছয় স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। ছবি : এনটিভি

কক্সবাজারের চকরিয়ায় মাতামুহুরী নদীতে গোসল করতে নেমে ছয় স্কুলছাত্র নিখোঁজ হয়। এর মধ্যে চারজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। একজনকে মুমূর্ষু অবস্থায় উদ্ধার করা হয়েছে। এখনো নিখোঁজ রয়েছে এক ছাত্র। চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস ও সিভিল ডিফেন্সের কর্মীরা উদ্ধার অভিযান চালাচ্ছেন।

আজ শনিবার সাড়ে ৪টার দিকে চকরিয়া মাতামুহুরি ব্রিজের নিচে এ ঘটনা ঘটে।

নিহত ছাত্ররা হলো মো. রফিকুল ইসলামের ছেলে সায়ীদ জাওয়াদ অরবি, আলহাজ আনোয়ার হোসেনের ছেলে আমিনুল হোসাইন এমশান, মো. ফারহান এবং মেহরাব হোসেন।

এখনো নিখোঁজ রয়েছে কানু ভট্টাচার্যের ছেলে তূর্য ভট্টাচার্য। এদের মধ্যে মারুফুল ইসলাম জামিলকে উদ্ধার করা হয়েছে। এদের মধ্যে মেহরাব অষ্টম শ্রেণির ছাত্র আর বাকিরা ১০ শ্রেণির ছাত্র। তারা সবাই চকরিয়া গ্রামার স্কুলের শিক্ষার্থী।

মারুফুল ইসলাম জামিলকে চকরিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়েছে।

রাত পৌনে ৮টার দিকে এনটিভি অনলাইকে চকরিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) বখতিয়ার উদ্দিন এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।  

প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে চকরিয়া গ্রামার স্কুলের প্রধান শিক্ষক রফিকুল ইসলাম বলেন, স্কুলের অর্ধবার্ষিকী পরীক্ষা শেষে স্কুলের ছাত্ররা মাতামুহুরী নদীর চরে ফুটবল খেলতে যায়। ফুটবল খেলা শেষে তারা নদীতে গোসল করতে নামলে এ দুর্ঘটনা ঘটে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে চকরিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নুরুদ্দীন মো. শিবলী নোমান বলেন, স্থানীয়দের সহায়তায় ফায়ার সার্ভিস কর্মীরা নিখোঁজ ছাত্রদের উদ্ধারে অভিযান চালাচ্ছে। কিন্তু কক্সবাজারে কোনো ডুবুরি না থাকায় উদ্ধারকাজে সমস্যা হচ্ছে। তবে বিষয়টি এরই মধ্যে বাংলাদেশ নৌবাহিনী ও ফায়ার সার্ভিসের চট্টগ্রাম বিভাগীয় কর্মকর্তাদের জানানো হয়েছে। তারা দ্রুত ব্যবস্থা নিচ্ছেন বলে জানিয়েছেন।

কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ কামাল হোসেন জানান, চকরিয়া ফায়ার সার্ভিস স্টেশনে কোনো ডুবুরি না থাকায় কক্সবাজার ও চট্টগ্রাম থেকে দুটি ডুবুরি দল ঘটনাস্থলে পাঠানো হয়েছে।