বিশ্বব্যাপী প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়ায় গত বছরের মতো এবারও হজে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশিদের। সৌদি আরব হজ পালনের অনুমতি না দেওয়ায় হজ পালানের সুযোগ পাচ্ছে না বাংলাদেশিরা।
আজ বৃহস্পতিবার জাতীয় সংসদের স্পিকার শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে এবং প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার উপস্থিতিতে বাজেট প্রস্তাব উপস্থাপনের সময় অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এ কথা বলেন। তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে গত বছর হজযাত্রী পরিবহন বন্ধ ছিল। গতবারের মতো এবারও হজযাত্রী পরিবহন বন্ধ থাকবে।’
আ হ ম মুস্তফা কামাল বলেন, ‘আগামী বছরগুলোতে সুষ্ঠুভাবে হজের যাবতীয় কার্যক্রম সম্পন্ন করার লক্ষ্যে তথ্য প্রযুক্তির সর্বোচ্চ ব্যবহার নিশ্চিত করা হচ্ছে। সব সেবা প্রদানকারী সংস্থার জায়গা সংকুলান হয় না। তাই হজ ক্যাম্প ভবনে ঊর্ধ্বমুখী সম্প্রসারণ এবং হজ ক্যাম্পের অভ্যন্তরীণ অবকাঠামো সংস্কারের কাজ দ্রুত গতিতে এগিয়ে চলছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘ইমাম ও মুয়াজ্জিন কল্যাণ ট্রাস্টের আওতায় চলতি অর্থবছরে এক হাজার ইমামকে সুদমুক্ত ঋণ ও চার হাজার দুঃস্থ ইমামকে সাহায্য দেওয়া হয়েছে।’
‘হিন্দু-বৌদ্ধ-খ্রিস্টান কল্যাণ ট্রাস্টের মাধ্যমে সংশ্লিষ্ট ধর্মালম্বীদের সার্বিক কল্যাণ সাধন, সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি পূর্ণ সহাবস্থান এবং শান্তিপূর্ণ সমাজব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে সমন্বিতভাবে কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে। ট্রাস্ট প্রতিষ্ঠার পর এনডাওমেন্ট তহবিলের (বৃত্তিদান তহবিল) মুনাফা থেকে আজ পর্যন্ত ৭৪৭টি চার্চ/গির্জা, কবরস্থান, উপাসনালয়কে তিন কোটি ৬৬ লাখ ২৩ হাজার টাকা অনুদান দেওয়া হয়েছে’, যোগ করেন অর্থমন্ত্রী।
প্রতি বছর হজ মৌসুমে আনুমানিক প্রায় লক্ষাধিক মানুষ হজ পালন করেন। তবে করোনা সংক্রমণের কারণে গত বছরও দেশটিতে অবস্থানরত বিদেশিরা ছাড়া অন্য কেউ হজ পালন করতে পারবেন না বলে সিদ্ধান্ত হয়। তখন এক ঘোষণায় বলা হয়, দেশটিতে বসবাসরত খুবই সীমিত সংখ্যক মানুষ এবার হজ পালনের সুবিধা পাবেন।