২০ ফেব্রয়ারি। ছোট ও বড় পর্দার জনপ্রিয় অভিনেত্রী সুবর্ণা মুস্তাফার জীবনে খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি দিন। অন্যভাবে বললে, খুব শোকের একটি দিন ২০ ফেব্রুয়ারি। কারণ ২০০৩ সালের এই দিনে পৃথিবী থেকে বিদায় নেন তার বাবা গোলাম মুস্তাফা। বাবার মৃত্যুর পর এই দিনটি তার কাছে স্মরণীয় হয়ে যায়। বাবাকে বিশেষ ভাবে স্মরণ করেন এই দিনে। অথচ এমন দিনেই জীবনের সেরা দুই অর্জনের দেখা পেলেন সুবর্ণা!
২০০৩ সালের যে দিনটিতে বাবাকে হারিয়ে শোকার্ত হয়ে পড়েছিলেন, ১৬ বছর পর সেই একই দিনে ক্যারিয়ারের শ্রেষ্ঠ দুটি অর্জনের দেখা পেলেন। এদিন সকালে একাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে সংসদ সদস্য হিসেবে শপথ নিয়েছেন এই অভিনেত্রী, এবং বিকেলে অভিনয়ে বিশেষ অবদানের জন্য বাংলা একাডেমিতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে একুশে পদক গ্রহণ করেন তিনি।
একই দিনে সংসদ সদস্য হিসেবে যাত্রা এবং রাষ্ট্রীয় পুরস্কার একুশে পদক গ্রহণ করায় সুবর্ণা মুস্তাফাকে অভিনন্দন জানাচ্ছেন অভিনয় জগতের অন্যান্য সহকর্মীরা।
জীবনের এমন দুটি শ্রেষ্ঠ অর্জনের দিনে বাবাকে এক মুহূর্তের জন্যও ভুলেননি সুবর্ণা। শপথ গ্রহণ ও একুশে পদক গ্রহণ করার আগে নিজের ফেসবুকে লিখেন, ‘ষোল বছর! অথচ মনে হয় এই তো সেদিন। বাবার সাথে দেখা করে ফিরছি। আজ অদ্ভুত এক দিন। বাবার চলে যাওয়ার দিন। আমার শপথ গ্রহণ করার দিন। আমার একুশে পদক গ্রহণ করার দিন। জীবনের সুখ দুঃখ মিলে মিশে একাকার হয়ে যাওয়ার দিন। বাবা, তোমাকে আর আম্মাকে আমি আর সুমিত বাবু অনেক ভালোবাসি।’
সুবর্ণা মুস্তাফার বাবা গোলাম মুস্তাফা ছিলেন বাংলা চলচ্চিত্রের অন্যতম অভিনেতাদের একজন। আবৃত্তিকার হিসেবেও খ্যাতি ছিলো তার। ১৯৬০ সালে ‘রাজধানীর বুকে’ ছবিতে জমিদারের ভূমিকায় প্রথম অভিনয় করেন। প্রথম ছবি থেকেই তিনি খলনায়ক চরিত্রের একক ও অপ্রতিদ্বন্দ্বী অভিনেতা হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেছিলেন। গোলাম মুস্তাফা প্রায় দুই শতাধিক চলচ্চিত্রে অভিনয় করেন।