ময়মনসিংহ বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনে ৯’শ ৪৫ একর ভূমির অনুমোদন

Post Image

অবশেষে বহুল প্রতীক্ষিত নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ভূমির ৮’শ ২ দশমিক ৫৭ একর অনুমোদন দিয়েছে সরকার। পাশাপাশি ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন শীর্ষক প্রকল্পের ডিপিপি ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য টিএপিপি প্রস্তুত করে পাঠানোর নির্দেশ দেয়া হয়েছে।

রবিবার জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের পরিকল্পনা-৪ শাখার উপসচিব নূর্সিয়া কমল স্বাক্ষরিত জেলা প্রশাসক বরাবর পাঠানো চিঠিতে এ অনুমোদন দেয় হয়। চিঠিতে সকল বিধি বিধান অনুসরণ পূর্বক ভূমি অধিগ্রহণের জন্য প্রশাসনিক অনুমোদন দেয়া হলো। ফলে ব্রক্ষ্ম‏পুত্র নদের ওপারে ৫টি মৌজায় ৮’শ ২ দশমিক ৫৭ একর জমিতে প্রশাসনিক ভবন, কর্মকর্তাদের বাসভবন, নভোথিয়েটার, স্পোর্টস কমপ্লেক্সসহ নানা স্থাপনার কাজ খুব শীঘ্রই শুরু হতে যাচ্ছে।

এ ব্যাপারে ময়মনসিংহের বিভাগীয় কমিশনার কামরুল হাসান বলেন,নানা চরাই-উৎরাই শেষে সকলের প্রাণের দাবি নবগঠিত ময়মনসিংহ বিভাগের বিভাগীয় সদর দপ্তর স্থাপনের লক্ষ্যে প্রস্তাবিত ৯’শ ৪৫ একর ভূমির মধ্যে ৮’শ ২ দশমিক ৫৭ একর ভূমি অধিগ্রহণ, ক্ষতিগ্রস্তদের ক্ষতিপূরণ প্রদান ও পুনর্বাসন প্রকল্পের প্রশাসনিক অনুমোদন পেয়েছি। শীঘ্রই এই প্রকল্পের ডিপিপি ও অবকাঠামো নির্মাণের জন্য টিএপিপি প্রস্তুত করে প্রেরণ করা হবে। এব্যাপারে সকল স্তরের জনগণের সহযোগিতা কামনা করেন তিনি।

বিভাগীয় কমিশনার আরও জানান, নদের ওপারে সদর দপ্তরকে ঘিরে ব্রক্ষ্ম‏পুত্র নদের উপর ৪টি ব্রিজ নির্মাণ করা হবে। এরমধ্যে সিটি কর্পোরেশনের রহমতপুর এলাকায় ১৬’শ কোটি টাকা ব্যয়ে একটি ব্রিজ, খাগডহর পয়েন্টে একটি ব্রিজ, কেওয়াটখালী থেকে দুই হাজার কোটি টাকা ব্যয়ে একটি এবং নগরীর জিরো পয়েন্ট থেকে নদের উপর আরও একটি ব্রিজ করার প্রক্রিয়া চলছে। যাতে করে বর্তমান শহরের বিভিন্ন পয়েন্ট থেকে বিভাগীয় সদর দপ্তরে সর্বসাধারণের যাতায়াত সুবিধা সুবিধা হয়। তিনি জানান, নদের ওপারে প্রাকৃতিক পরিবেশ মণ্ডিত পরিবেশ ও নদের অবস্থান ঠিক রেখে সকল প্রস্তুতি নেয়া হচ্ছে।

প্রকাশ, ২০১৫ সালের ১৩ অক্টোবর দেশের অন্যতম বৃহৎ জেলা ময়মনসিংহকে দেশের ৮ম বিভাগে উন্নীত করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আগামী ১৩ অক্টোবর বিভাগ ঘোষণার ৫ বছর পূর্তি উৎসবের আগে এই সুসংবাদটি এই অঞ্চলের কোটি মানুষের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটাবে।