ধাওয়া দিয়ে ছাত্রদলকে ক্যাম্পাসছাড়া করলো জবি ছাত্রলীগ

Post Image

বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদকে নিষ্ঠুরভাবে পিটিয়ে হত্যার প্রতিবাদে ও হত্যার ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে আজ বুধবার (৯ অক্টোবর) জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা একটি মিছিল বের করলে সেই মিছিলে হামলা চালায় জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা। সকাল ১০টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের সামনে এই হামলার ঘটনা ঘটে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানিয়েছে, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সভাপতি রফিকুল ইসলাম এবং সাধারণ সম্পাদক আসিফ রহমান বিপ্লবের নির্দেশে সকাল ৯ টার দিকে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের কাঁঠালতলায় একত্রিত হন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেখানে একটি সংক্ষিপ্ত সমাবেশ করে বিশ্ববিদ্যালয়ের কলাভবনের সামনে থেকে বুয়েট শিক্ষার্থী আবরার ফাহাদ হত্যাকারীদের ফাঁসির দাবিতে একটি মিছিল বের করেন ছাত্রদলের নেতাকর্মীরা। সেই মিছিলটি জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের অবকাশ ভবনের সামনে আসার পর পেছন থেকে অতর্কিত হামলা চালায় ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা।
 
আহতরা হলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রদলের সহ-সভাপতি মিজানুর রহমান নাহিদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মিজানুর রহমান শরীফ ও আলী হোসেন হাওলাদার,ছাত্রদলকর্মী আরেফিন, জহিদ ভূইয়া ও জাহিদ। সেসময় যুগ্ম-সম্পাদক আলি হাওলাদার এবং জাহিদকে পুলিশের কাছে সোপর্দ করা হয়।

এই ব্যাপারে কোতোয়ালি থানার ওসি ( তদন্ত) মওদুদ বলেন, জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় (জবি) ক্যাম্পাসে দুই গ্রুপের ধাওয়া ও পাল্টা ধাওয়া চলছিল। তাই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আমরা ছাত্রদলের দুইজনকে আটক করে তাদেরকে আমাদের হেফাজতে নিয়ে এসেছি।

এই বিষয়ে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. মোস্তফা কামাল বলেন, আমাদের বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কাউকে আটক করা হয়নি এবং এমন কোন হামলার খবর আমার জানা নেই। প্রক্টর অফিসে একজন ছেলে আহত অবস্থায় আসলে আমরা তাকে চিকিৎসার জন্য ঢাকা মেডিকেলে পাঠিয়ে দিয়েছি।

বাংলাদেশের ছাত্রলীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি আল নাহিয়ান জয় এই বিষয়ে বলেন, “আমরা এই ব্যাপারে কাউকে কোনো নির্দেশনা দেই নাই। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ আবরার হত্যার প্রতিবাদে ইতোমধ্যে ১১ জনকে বহিষ্কার করেছে এবং যারা এসব ঘটনা ঘটিয়েছে তারা ছাত্রলীগের কেউ নয়। বাংলাদেশ ছাত্রলীগ কখনো এসব বিষয়ে জড়িত না। অতি উৎসাহী কিছু কিছু লোকজন এসব ঘটনা ঘটায়।আমরা যথাযোগ্য প্রমাণ পেলে এদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা গ্রহন করবো”।