৬ মাসের কারাদণ্ড হলো সম্রাট-আরমানের

Post Image

ঢাকা মহনগর দক্ষিণ যুবলীগের সভাপতি (সদ্য বহিষ্কৃত) ইসমাইল চৌধুরী সম্রাটের কার্যালয়ে অভিযানে ক্যাঙ্গারুর চামড়া পাওয়ায় বন্যপ্রাণী আইনে তাকে ৬ মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম বন্যপ্রাণী আইনে এ কারাদণ্ডের আদেশ দেন।

এ ছাড়া মাদক আইনে যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানকে ছয় মাসের কারাদণ্ড দেয়া হয়েছে। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্নেল সারওয়ার বিন কাসেম।

এদিকে জানা গেছে, সম্রাটকে ইতোমধ্যে কারাগারে পাঠানো হয়েছে। রাত ৮টা ১৫ মিনিটে তাকে কেরানীগঞ্জ কেন্দ্রীয় কারাগারের ভেতরে নেয়া হয়।

এর আগে আজ রবিবার ভোরে সম্রাটকে তার এক সহযোগী যুবলীগের সহসভাপতি এনামুল হক আরমানসহ কুমিল্লা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। সেখান থেকে তাকে ঢাকায় আনা হয়।

র‌্যাব জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের সময় সম্রাট ও আরমান মদ্যপ ছিলেন। তাদের কাছে বিদেশি মদ ছিল। এ কারণেও ভ্রাম্যমাণ আদালত তাদের ছয় মাস করে কারাদণ্ড দেন।

এছাড়া সম্রাটের অফিসে র‌্যাবের অভিযানে ১১৬০ পিস ইয়াবা, ১টি অবৈধ অস্ত্র, দুটি বন্যপ্রাণির চামড়া (ক্যাঙ্গারুর চামড়া), দুটি শক মেশিন (টর্চার করার মেশিন) এবং বেশ কিছু মদের বোতল পাওয়া গেছে।  

ক্যাসিনো বিরোধী অভিযান শুরুর পর সম্রাটের নাম আসার পর থেকেই তাকে নিয়ে নানা গুঞ্জন রয়েছে। অভিযান শুরুর পর হাইপ্রোফাইল কয়েকজন গ্রেপ্তার হলেও খোঁজ মিলছিল না সম্রাটের। এসবের মধ্যেই তার দেশত্যাগেও নিষেধাজ্ঞা জারি করা হয়। এরপর গতকাল শনিবার রাত থেকে তার গ্রেপ্তার হওয়ার খবর আসলেও রোববার সকালে তাকে গ্রেপ্তার করা হয়।

গত ১৮ সেপ্টেম্বর সন্ধ্যায় ঢাকা দক্ষিণ মহানগর যুবলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক খালেদ মাহমুদ ভূঁইয়া গ্রেপ্তার হওয়ার পর সংগঠনের নেতাকর্মী নিয়ে নিজ কার্যালয়ে অবস্থান নিয়েছিলেন সম্রাট। পরে তার আর খোঁজ মিলছিল না।