শেরপুরের সুপার উইমেন!

Post Image

সুপার ম্যানদের গল্প অনেক শুনেছি। তবে আজ নিজের জেলার সুপার উইমেন নিয়ে লিখবো।

Shohagi Akter ফেসবুকে পরিচয়। ফেসবুকে কারো সাথে কথা বলার আগে তার প্রোফাইল ঘাটাঘাটি করার ছোট খাটো অভ্যাস আছে।

এই মেয়েটার আইডি ঘাটতে যেয়ে নিজেই ধাক্কা খেয়েছি।

কারণ আমাদের মেয়েদের জন্য ততোটা সহজ না জাতীয় পর্যায়ে গিয়ে কাজ করা।

একটা সময় অনেক চেষ্টা করেও হয়তো সম্ভব হয়নি। কাউকে ঢাকায় নিয়ে গিয়ে একটা ট্রেইনিং বা একটা অনুষ্ঠানে পারফর্ম করানোর জন্য।

সেখানে সোহাগি কে প্রথম দেখলাম যে শেরপুর জেলা থেকে জাতীয় পর্যায়ের প্ল্যাটফর্মে ভলান্টিয়ার সংগঠন গুলোর হয়ে কাজ করছে। (আমার অজনা অনেকেই কাজ করে থাকতে পারেন। তাদের জানার আগ্রহ আছে। সেই সাথে তাদের প্রতি থাকবে সবসময় শ্রদ্ধা)

অনেকেই কাজ শুরু করে আবার মাঝ পথে থেমে যায়। নানা কারণে থেমে যায়। সেখানে মেয়েটা কাজ করে চলেছে দিনের পর দিন।

সে শিক্ষা ও পরিবেশ নিয়ে কাজ করছে। নিজের জেলায় সমাজের বিশেষ শ্রেণিদের জন্য একটা স্কুল চালায়। নিজ জেলায় পরিবেশ পরিচ্ছন্নতার ব্যাপারেও বেশ সচেতন। বিভিন্ন অভিযানের মাধ্যে পরিচ্ছন্ন চর্চায় আগ্রহী করে তুলছে তার আশেপাশের মানুষদের।

এছাড়াও নিজে নিয়মিত রক্তদান করে এবং বিভিন্নভাবে আশেপাশের মানুষদের রক্তদানে উৎসাহিত করে। পরিচালনা করে ব্লাডগ্রুপিং ক্যাম্পেইন।

আমরা আসলে ব্রাভো বয় বললেই ভাঙ্গা রেললাইন আর লাল শার্টের কথা কল্পনা করি। সেই গল্পটা সত্যি না বাস্তব কেউ জানিনা। কিন্তু এই মেয়েটা তার পরিবার ও সমাজের এমন অনেক ভাঙ্গা লাইনকে লাল শার্ট দেখিয়ে সমাজ ও তার মানুষের জন্য কাজ করে যাচ্ছে।

যারা সমাজের জন্য নীরবে কাজ করে যাচ্ছে তারাইতো আসল সুপার ম্যান অথবা সুপার উইমেন।

আসুন সকলে মিলে ভালোর সাথে থাকি। বেশি বেশি উৎসাহ দিই। ভালো কাজের স্বীকৃতি বা উৎসাহ কাজের গতি বৃদ্ধি করে।

শুভকামনা সোহাগি তার টিমসহ সকল সুপার ম্যান এবং উইমেনদের জন্য।