ট্রেন ছাড়ছে ৬-১০ ঘণ্টা দেরিতে, চরম শিডিউল বিপর্যয়

Post Image

চরম শিডিউল বিপর্যয় দেখা দিয়েছে ট্রেন পথে। প্রতিটি ট্রেন গড়ে ৬-১০ ঘণ্টা দেরিতে আসছে স্টেশনে। এতে স্টেশনে স্টেশনে চাপ বাড়ছে ঘরমুখী মানুষের।

শুক্রবার (৯ আগস্ট) বঙ্গবন্ধু সেতুর পূর্ব প্রান্তে খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেসের একটি বগি লাইনচ্যুত হয়। এতে বঙ্গবন্ধু সেতুতে ট্রেন চলাচল সাময়িকভাবে বন্ধ হওয়ায় ঘরে ফেরা মানুষ ঈদযাত্রায় চরম ভোগান্তিতে পড়ে। শুক্রবার বেলা পৌনে ২টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। সাড়ে তিন ঘণ্টা পর উত্তর ও দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের সঙ্গে ঢাকার রেল চলাচল শুরু হয়। সেই প্রভাব ওই রুট ব্যবহার করা সব ট্রেনে পড়ে। যার ফলে প্রতিটি ট্রেনই বিলম্বে যাতায়াত করছে।

শনিবার কমলাপুর রেলস্টেশন থেকে শিডিউল বিপর্যয়ের কারণে পশ্চিমাঞ্চলের গুরুত্বপূর্ণ ট্রেনগুলো দেরিতে ছাড়বে। এসব ট্রেনের কোনোটি ৬, কোনোটি ৮ এবং কোনোটি ১০ ঘণ্টা বিলম্বে ছেড়ে যাবে। এতে চরম ভোগান্তি আর সীমাহীন বিড়াম্বনায় পড়েছে ঘরমুখো মানুষ।

শনিবার (১০ আগস্ট) সকালে কমলাপুর রেলস্টেশনে রাখা ডিসপ্লেতে দেয়া ট্রেনের সময়সূচি অনুযায়ী, রাজশাহীগামী ধূমকেতু এক্সপ্রেস ট্রেনটি সাড়ে ৮ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক বেলা ২টা ৩০ মিনিটে ছেড়ে যাবে। খুলনাগামী সুন্দরবন এক্সপ্রেস ৬ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক দুপুর সাড়ে ১২টায় ছেড়ে যাবে।

চিলাহাটিগামী নীলসাগর এক্সপ্রেস ৮ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক বিকেল ৪টায় এবং রংপুরগামী রংপুর এক্সপ্রেস ট্রেনটি বিলম্ব হবে উল্লেখ করা থাকলেও সম্ভব্য সময় জানানো হয়নি।

তবে রেলসূত্র জানায়, প্রায় ৮ ঘণ্টা দেরিতে আনুমানিক বিকেল ৫টায় ছেড়ে যেতে পারে রংপুর এক্সপ্রেস। তবে এ সময় পরিবর্তনও হতে পারে।

কমলাপুর রেলস্টেশনে ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছিলেন মিরপুরের আকাশ মিয়া। অত্যন্ত ক্ষোভের সঙ্গে তিনি বলেন, ‘১৫-১৬ ঘণ্টা লাইনে দাঁড়িয়ে টিকিট সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। ঘণ্টার পর ঘণ্টা বিলম্বে ট্রেন আসছে-ছাড়ছে, দায়িত্বশীলদের কেউই কোনো কথা বলছেন না।’

কমলাপুর রেলস্টেশন ম্যানেজার আমিনুল ইসলাম জুয়েল জানান, ট্রেনে যাত্রীদের চাপ খুব বেশি। এক একটি ট্রেনে নির্ধারিত যাত্রীর চেয়ে ৩-৪ গুণ বেশি যাত্রী উঠছে। এছাড়া যাত্রীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করতেই ট্রেন ধীরগতিতে চালাতে হচ্ছে।