সৌদিতে মার্কিন সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিলেন বাদশাহ সালমান

Post Image

আঞ্চলিক নিরাপত্তা এবং স্থিতিশীলতার কথা চিন্তা করে সৌদি আরবে মার্কিন সেনা মোতায়েনের অনুমতি দিয়েছেন বাদশাহ সালমান।  শুক্রবার সৌদি বার্তা সংস্থা এসপিএ এই খবর প্রকাশ করে।  

উপসাগরীয় অঞ্চলে যুক্তরাষ্ট্র এবং ইরানের মধ্যে ক্রমবর্ধমান উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে সৌদি বাদশাগ সালমান এই সিদ্ধান্ত নিলেন।  ক্রমেই বাড়তে থাকা এই উত্তেজনা বিশ্বজুড়ে তেলের বাজারে ব্যাপক প্রভাব ফেলছে।

প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে এসপিএ জানায়, শান্তি, আঞ্চলিক নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় এবং যৌথ সহযোগিতা বাড়াতে এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। তবে এই ব্যাপারে বিস্তারিত কিছু উল্লেখ করা হয়নি।

সৌদি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানায়, সৌদি আরব এবং যুক্তরাষ্ট্রের পারস্পরিক সহযোগিতার উপর ভিত্তি করে এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা ও স্থিতিশীলতা রক্ষায় মার্কিন ইচ্ছা অনুযায়ী বাদশাহ এই অনুমতি দেন। 

বৃহস্পতিবার মার্কিন সংবাদমাধ্যম সিএনএন জানিয়েছে, যুক্তরাষ্ট্র প্রায় ৫০০ সৈন্য সৌদি আরব পাঠানোর পরিকল্পনা করেছে।  রাজধানী রিয়াদের পূর্বে মরু এলাকায় অবস্থিত প্রিন্স সুলতান বিমান ঘাঁটিতে এদের মোতায়েন করা হবে।  

দুই জন মার্কিন সামরিক কর্মকর্তা সিএনএনকে জানান, ওই বিমান ঘাঁটিতে সামান্য কিছু মার্কিন সেনা ছিল।  যুক্তরাষ্ট্র নির্মিত প্যাট্রিয়ট ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবস্থার প্রাথমিক পরিকল্পনার অংশ হিসেবে তারা ওই ঘাঁটিতে আছেন।  এছাড়া রানওয়ে এবং বিমান ঘাঁটির উন্নয়নেও তারা ভূমিকা রাখছেন।

নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক কর্মকর্তা জানান, ওয়াশিংটন পঞ্চম প্রজন্মের এফ-২২ বিমান এবং অন্যান্য যুদ্ধবিমান এই ঘাঁটি থেকে উড়ানোর আশা করছে।

উল্লেখ্য, ইরাকি প্রেসিডেন্ট সাদ্দাম হোসেন কুয়েত দখল করে নেয়ার পর ১৯৯১ সালে অপারেশন ডেজার্ট স্টর্মের কারণে ১২ বছর ধরে সৌদি আরবে মার্কিন সেনাদের উপস্থিতি ছিল।  ২০০৩ সালে ইরাক যুদ্ধ শেষে মার্কিন প্রতিরক্ষামন্ত্রী ডোনাল্ড রামসফেল্ড সৌদি আরব থেকে সেনা প্রত্যাহারের ঘোষণা দেন।  এরপর থেকে দেশটিতে মার্কিন সেনা মোতায়েন করা হয়নি।   

এদিকে ২০১৫ সাল থেকে শুরু হওয়া ইয়েমেন যুদ্ধে সৌদি নেতৃত্বাধীন বাহনীকে সামর্থন দিয়ে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।  এই যুদ্ধে হাজার হাজার বেসামরিক নাগরিক প্রাণ হারানো সত্ত্বেও যুদ্ধ থেকে বিরত হচ্ছে না সৌদি আরব।