কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষার পর প্রতিবেদন দাখিল করেছে ৫ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড। ওই প্রতিবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে খালেদা জিয়ার শারীরিক অবস্থা ঝুঁকিপূর্ণ নয় বলে জানিয়েছেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুন।
রবিবার (১৬ সেপ্টেম্বর) দুপুরে তিনি বলেন, পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করার পরামর্শ দিয়েছেন।
তিনি আরও বলেন, বোর্ডের চিকিৎসকরা খালেদা জিয়ার চিকিৎসার প্রতিবেদন সঠিক সময়ে আমার হাতে দিয়েছেন। প্রতিবেদনটি আজই কারা অধিদফতরে পাঠিয়ে দেবো।
এদিকে বেলা পৌনে ১২টার দিকে বিএসএমএমইউ’র পরিচালক ব্রিগেডিয়ার জেনারেল আব্দুল্লাহ আল হারুনের হাতে এ প্রতিবেদন তুলে দেন মেডিকেল বোর্ডের প্রধান মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক এম এ জলিল।
তিনি বলেন, আমরা শনিবার খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছি। রবিবার সকাল ১০টা থেকে বোর্ডে ৫ সদস্য বসে দেড় ঘণ্টা পর্যালোচনা করে এ প্রতিবেদন তৈরি করেছি।
বিএসএমএমইউর মেডিসিন বিভাগের এ অধ্যাপক আরও বলেন, খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় কী কী করণীয় তা প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে। তার চিকিৎসায় অনেক কিছুই করণীয় আছে। কোথায় চিকিৎসা হওয়া দরকার সে বিষয়েও পরামর্শ দেওয়া আছে। পাশাপাশি রোগের বর্ণনাও রয়েছে। বেলা পৌনে ১২টার দিকে এ প্রতিবেদন হস্তান্তর করেছি।
এদিকে বিএনপির পক্ষ থেকে অভিযোগ করে বলা হয়েছে, সরকার গঠিত মেডিকেল বোর্ডের চিকিৎসকদের দিয়ে খালেদা জিয়ার সঠিক চিকিৎসা হবে না এবং তার স্বাস্থ্যের দ্রুত অবনতি হচ্ছে।
শনিবার বিকাল পৌনে ৪টার দিকে পুরান ঢাকার নাজিমউদ্দিন রোডের পুরনো কেন্দ্রীয় কারাগারে প্রবেশ করেন চিকিৎসকরা।
মেডিকেল বোর্ডে রয়েছেন- বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক আব্দুল জলিল চৌধুরী (ইন্টারনাল মেডিসিন), অধ্যাপক হারিসুল হক (কার্ডিওলজি), অধ্যাপক আবু জাফর চৌধুরী (অর্থোপেডিক সার্জারি), সহযোগী অধ্যাপক তারেক রেজা আলী (চক্ষু) ও সহযোগী অধ্যাপক বদরুন্নেসা আহমেদ (ফিজিক্যাল মেডিসিন)।
এর আগে গত বৃহস্পতিবার ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারের জেলার মো. মাহাবুবুল ইসলাম জানিয়েছিলেন, কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার চিকিৎসায় পাঁচ সদস্যের মেডিকেল বোর্ড গঠন করেছে সরকার।