রাজধানীতে ১৪ হাসপাতাল বন্ধের নির্দেশ

Post Image

রাজধানীর মোহাম্মদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীতে থাকা লাইসেন্সবিহীন  ১৪টি হাসপাতাল দ্রুত বন্ধ করতে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট।

হাসপাতালগুলো হলো-বিডিএম হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক, সেবিকা জেনারেল হাসপাতাল, জনসেবা নার্সিং হোম অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, লাইফ কেয়ার নার্সিং হোম, রয়্যাল মাল্টি স্পেশালিটি হাসপাতাল, নবাব সিরাজউদ-দৌলা অ্যান্ড ড্রাগ এডিশন হাসপাতাল, মনমিতা মেন্টাল হাসপাতাল, প্লাজমা মেডিক্যাল সার্ভিস অ্যান্ড ক্লিনিক, শিফা হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক সেন্টার, ইসলামিয়া মেন্টাল হাসপাতাল, ক্রিসেন্ট হাসপাতাল অ্যান্ড ডায়াগনস্টিক  কমপ্লেক্স, মক্কা-মদিনা জেনারেল হাসপাতাল, নিউ ওয়েল কেয়ার হাসপাতাল ও বাংলাদেশ ট্রমা স্পেশালাইজড হাসপাতাল।

মঙ্গলবার এ সংক্রান্ত এক রিট আবেদনের শুনানি নিয়ে বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি আহমেদ সোহেলের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ রুলসহ এ আদেশ দেন।

স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক ও র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এই নির্দেশ বাস্তবায়ন করতে বলা হয়েছে। আদালতে রিট আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট মনজিল মোরসেদ।

মনজিল মোরসেদ বলেন, গত এপ্রিলে মোহাম্মাদপুরে সোহরাওয়ার্দী হাসপাতালের বিপরীতে বাবর রোড ও খিজির রোড সংশ্লিষ্ট এলাকায় লাইসেন্সহীন হাসপাতালের খবর একটি দৈনিক পত্রিকায় প্রকাশিত হয়। এই প্রতিবেদন সংযুক্ত করে জনস্বার্থে গত ৯ সেপ্টেম্বর আমরা একটি রিট করি। আজকে এর ওপর শুনানি হয়েছে। শুনানি নিয়ে আদালত ১৪টি হাসপাতাল দ্রুত বন্ধের নির্দেশ দিয়েছেন। এছাড়া রুল জারি করা হয়েছে। লাইসেন্সহীন হাসপাতাল পরিচালনা কেন বেআইনি ঘোষণা করা হবে না এবং যারা এগুলো পরিচালনা করছে তাদের বিরুদ্ধে আইনত কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে না-তা জানতে চেয়ে চার সপ্তাহের রুল জারি করেছেন আদালত।

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় সচিব, স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক, পুলিশ কমিশনার, মোহাম্মাদপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা, র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটকে এ রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে।

গত ২০ এপ্রিল ‘রাজধানীতে বেসরকারি স্বাস্থ্যসেবা প্রতিষ্ঠান: ৫০০ মিটারে ২৬টি, ১৪টিই অবৈধ হাসপাতাল’ শিরোনামে একটি দৈনিকে প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। পরে সে প্রতিবেদন সংযুক্ত করে হিউম্যান রাইটস অ্যান্ড পিস ফর বাংলাদেশের (এইচআরপিবি) পক্ষে রিট দায়ের করা হয়।