গাজীপুরে খুনের দায়ে সাতজনের মৃত্যুদণ্ড

Post Image

গাজীপুরে এক খুনের মামলার রায়ে সাত আসামিকে মৃত্যুদণ্ড দিয়েছেন জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক এ কে এম এনামুল হক। সাত বছর আগে মিলন ভূঁইয়া নামের এক ব্যক্তিকে হত্যার দায়ে আজ সোমবার সকালে এই রায় দেন আদালত।

ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত আসামিরা হলেন গাজীপুরের জয়দেবপুর থানার গজারিয়াপাড়া এলাকার রাজীব হোসেন ওরফে রাজু (২৯), মো. কাইয়ুম (৩২), কিশোরগঞ্জের পাকুন্দিয়া উপজেলার বুরুদিয়া এলাকার মো. রাজীব হোসেন (২৯), গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার ধরপাড়া এলাকার মো. ফারুক হোসেন (৩২), গাজীপুরের কাপাসিয়া উপজেলার নলগাঁও বুরুজপাড়া এলাকার মো. সফিকুল ইসলাম ওরফে পারভেজ (৩৩), জামালপুরের ইসলামপুর উপজেলার পূর্ব বালিয়াদহ গ্রামের ওরফে হোসেন আলী (৩৪) ও কুড়িগ্রামের নাগেশ্বরীর সুকানদীঘি এলাকার মোহাম্মদ আলী ওরফে ছোট আলী (২৭)। তাঁদের প্রত্যেককে মৃত্যুদণ্ড ছাড়াও ১০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়েছে। এ ছাড়া অপর একটি ধারায় তাঁদের প্রত্যেককে ১০ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড দিয়েছেন একই আদালত।

রায়ে কিশোরগঞ্জের হোসেনপুর থানার শাহেদল গ্রামের মাসুদ ওরফে মামা মাসুদকে (৩৯) পাঁচ বছরের সশ্রম কারাদণ্ড ও ১০ হাজার টাকা জরিমানা, অনাদায়ে আরও এক মাসের সশ্রম কারাদণ্ডের রায় দেওয়া হয়।

দোষ প্রমাণিত না হওয়ায় আসামি ময়মনসিংহের ত্রিশালের বকশিপাড়ার ছেলে এনামুল হক (৩৫) ও কিশোরগঞ্জের কটিয়াদীর থানার আছমিতা এলাকার সামসুল হককে (৫২) খালাস দেওয়া হয়।

গাজীপুর আদালতের পিপি মো. হারেছ উদ্দিন আহমেদ জানান, ২০১১ সালের ২৬ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়ি গাজীপুরের পূর্ব চান্দনা এলাকার ফেরার পথে ভাওয়াল জাতীয় উদ্যানের ৪ নম্বর ফটকের কাছে ১০ থেকে ১২ জন ডাকাত মিলন ভূঁইয়াকে কুপিয়ে খুন করে। এ ঘটনায় পরদিন নিহত মিলনের মামা আক্তার হোসেন বাদী হয়ে জয়দেবপুর থানায় ৮ থেকে ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেন। পরে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সাতজনকে পুলিশ গ্রেপ্তার করে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠায়। অন্যরা পলাতক।

মামলার ১০ আসামির মধ্যে মো. রাজীব হোসেন, মো. ফারুক হোসেন ও মো. আলী হোসেন ওরফে হোসেন আলী পলাতক। রায় ঘোষণার সময় আসামি রাজীব হোসেন, মো. কাইয়ুম, মো. সফিকুল ইসলাম ও মোহাম্মদ আলী ওরফে ছোট আলী আদালতে উপস্থিত ছিলেন।

রাষ্ট্রপক্ষে পিপি হারিছ উদ্দিন আহমেদ এবং আসামিপক্ষে মো. খালেদ হোসেন, খালেদ মাহমুদ রাব্বি, মো. হাফিজ উল্লাহ দরজি, মো. জহিরুল ইসলাম ও ওয়াহিদুজ্জামান আকন্দ মামলাটি পরিচালনা করেন।