সৌর সেচ পাম্প ও রোহিঙ্গাদের জন্য অনুদান দিচ্ছে এডিবি

Post Image

মিয়ানমার থেকে বিতাড়িত হয়ে কক্সবাজারে আশ্রয় নেওয়া রোহিঙ্গাদের জন্য ১০ কোটি ডলার দিচ্ছে এশিয় উন্নয়ন ব্যাংক (এডিবি)। এ ছাড়াও এডিবি বাংলাদেশে সৌর বিদ্যুৎ চালিত দুই হাজার সেচ পাম্প স্থাপনে প্রায় সাড়ে ১২ কোটি ডলার অনুদান দিচ্ছে। স্থানীয় মুদ্রায় এর মোট পরিমাণ এক হাজার ৩ কোটি টাকা।

বৃহস্পতিবার ঢাকায় শেরেবাংলা নগরে এনইসি সম্মেলন কক্ষে চুক্তিতে সই করেন অর্থনৈতিক সম্পর্ক বিভাগের সচিব (ইআরডি) কাজী শফিকুল আযম এবং এডিবির কান্ট্রি ডিরেক্টর মনমোহন প্রকাশ।

এডিবির অনুদানের বিষয়ে কাজী শফিকুল আযম বলেন, ‘রোহিঙ্গা জনগোষ্ঠীর জন্য এ সহায়তা খুবই প্রয়োজনীয়। এডিবির সঙ্গে আলোচনা শুরুর মাত্র দুই মাসের মাথায় অনুদান চুক্তি করা সম্ভব হলো।’

এজন্য এডিবির প্রেসিডেন্টসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন তিনি।

তিনি বলেন, ‘এডিবি মোট ২০ কোটি ডলার অনুদানের প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার মধ্যে প্রথম পর্যায়ে ১০ কোটি ডলারের চুক্তি হলো। প্রকল্পটি বাস্তবায়নের সফলতার ওপর নির্ভর করে পরবর্তী ১০ কোটি ডলার সহায়তা পাওয়া যাবে। এছাড়া সৌর বিদুৎ চালিত সেচ পাম্প স্থাপন করা হলে পরিবেশবান্ধব সেচ নিশ্চিত করা সম্ভব হবে। এ প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হলে নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌর বিদ্যুতে সেচ পাম্পগুলো পরিচালনার ফলে জ্বালানিভিত্তিক উৎপাদিত বিদ্যুতের ওপর চাপ কমবে।’

অনুষ্ঠানে মনমোহন প্রকাশ বলেন, ‘বাংলাদেশের আহ্বানে সাড়া দিয়ে এডিবি দ্রুততম সময়ে সহায়তার হাত বাড়িয়ে দিয়েছে। তাছাড়া নবায়নযোগ্য জ্বালানি হিসেবে সৌর বিদ্যুৎ সেচ কাজে ব্যবহৃত হলে বাংলাদেশের বিদ্যুতের ওপর চাপ কমবে। এই প্রকল্পের আওতায় পল্লী এলাকায় দুই হাজার পাম্প স্থাপন করা হবে।’

অনুষ্ঠানে জানানো হয়, বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড (বিআরইবি) এ অনুদানের গৃহীত প্রকল্পের বাস্তবায়নকারী সংস্থা হিসাবে দায়িত্ব পালন করবে। এ প্রকল্পের আওতায় গৃহীত কার্যক্রমের মূল উদ্দেশ্য হচ্ছে কৃষি সেচের জন্য সোলার ফটোভোল্টিক পাম্পিং সিস্টেমের বিস্তার ও সেচ মৌসুমে গ্রিডের বিদ্যুতের ওপর অতিরিক্ত চাপ কমানো এবং ডিজেল চালিত পাম্প পরিহারের মাধ্যমে দূষিত পদার্থের নির্গমণ হ্রাস করা।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে বলা হয়েছে, এডিবির ইমারজেন্সি অ্যাসিস্ট্যান্স প্রজেক্ট শীর্ষক অনুদানের আওতায় চলমান প্রকল্পটির উদ্যোগী বিভাগ হলো স্থানীয় সরকার বিভাগ, সড়ক পরিবহন ও মহাসড়ক বিভাগ এবং বিদ্যুৎ বিভাগ। স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তর, জনস্বাস্থ্য প্রকৌশল অধিদপ্তর, সড়ক ও জনপথ অধিদপ্তর এবং বাংলাদেশ পল্লী বিদ্যুতায়ন বোর্ড- এ চারটি সংস্থার মাধ্যমে প্রকল্পটি বাস্তবায়ন হবে। প্রকল্পটির জন্য মোট ব্যয় হবে ১২ কোটি ডলার। এর মধ্যে ২ কোটি ডলার সরকারের নিজস্ব তহবিল থেকে ব্যয় করা হবে।