জোয়ারের পানিতে তলিয়ে যাচ্ছে বীজ, আতঙ্কে কৃষকরা

Post Image

পটুয়াখালীর বাউফল উপজেলার কৃষক পরিবারে এখন দুঃশ্চিন্তার ছাপ। ভারী বৃষ্টিপাতের কারনে বাড়ছে পানি সেই সাথে বাড়ছে কৃষকদের মাঝেও বাড়ছে দুঃশ্চিন্তা ও আত্মঙ্ক। 

জোয়ারের পানিতে ইতিমধ্যে কয়েকটি গ্রামের কয়েক একর জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে। অস্বভাবিক ভাবে বাড়ছে পানি। এভাবে পানি বাড়তে থাকলে কয়েক দিনের ভেতরই অবশিষ্ট জমি গুলোও তলিয়ে যাবে। 

উপজেলার চন্দ্রদীপ ইউনিয়নের চর কচুয়া গ্রামের কৃষক নিজাম উদ্দিন হাওলাদার বাংলা'কে জানান, ৭ একর জমিতে বীজতলা তৈরী করেন। গত ৪/৫ দিনে বৃষ্টি ও জোয়ারের পানিতে  তার ১ একর জমির বীজতলা তলিয়ে গেছে।

তিনি বলেন, ‘এই মুহুর্তে বীজ তলা তলিয়ে গেলে নতুন করে করার সময় থাকবে না। অনেক কষ্টের টাকা দিয়ে এই বীজতলা বুনেছিলাম।’

একই গ্রামের কৃষক হালিম ব্যাপারী, জালাল হাওলাদার ও হাসান হাওলাদার জানান, তাদের ৪ একর জমির বীজতলা ইতিমধ্যে তলিয়ে গেছে। পানি বাড়তে থাকলে আস্তে আস্তে সবই তলিয়ে যাবে। তারা ১৫ একর জমিতে বীজতলা তৈরী করেছিলেন।

ইউনিয়নের চেয়ারম্যান আলকাছ হোসেন বলেন, ‘বেড়িবাঁধ না থাকায় তেঁতুলিয়া নদীর পানি সরাসরি  গ্রামে প্রবেশ করে প্রতি বছর বীজতলা তলিয়ে যায়। এতে কৃষকদের ব্যাপক ক্ষতি হয়। তাই বেড়ি বাধ নির্মান করা খুব জরুরী হয়ে উঠেছি।’

উপজেলা কৃষি অফিসার অপূর্ব লাল বলেন, এখন পর্যন্ত যে সব বীজতলা জোয়ারের পানিতে তলিয়ে রয়েছে তাতে বীজ নষ্ট হবার আশঙ্কা কম। তবে পানি বৃদ্ধি অব্যাহত থাকলে কিছু বীজতলা নষ্ট হতে পারে।

পানি বাড়লে কৃষকদের জন্য দাপগ ও ভাসমান বীজতলা তৈরীর ব্যবস্থা করা হবে। এ  জন্য সব রকমের প্রস্তুতি আমাদের রয়েছে। 

উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা যায়, এ বছর ২ হাজার ৩ শত হেক্টর জমিতে স্থানীয় জাতের বীজতলা তৈরী করা হয়েছে। যার লক্ষমাত্র নির্ধারন করা হয়েছে ১৯ হাজার ৯ শত ৯৮ মেট্রিক টন ।