‘ভারতের চতুর্থ শীর্ষ রেমিটেন্স-উৎস বাংলাদেশ’তথ্যটি ঠিক নয়

Post Image

একটি অপরিচিত পত্রিকার ওয়েবসাইটের লিংক ও ছবি দেখিয়ে দাবি করা হচ্ছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে ১০ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স গেছে ভারতে। বিষয়টি এরই মধ্যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ভাইরালও হয়েছে। তবে খোঁজ নিয়ে দেখা গেছে, ‘খবরটি’ ঠিক নয়।

কথিত প্রতিবেদনে একটা তালিকা দিয়ে বলা হচ্ছে, বাংলাদেশ হলো ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম রেমিটেন্স- উৎস।

আরো বলা হয়েছে, ২০১৭ সালে বাংলাদেশ থেকে এক হাজার কোটি ডলার রেমিটেন্স নিয়ে গেছে ভারত। ২০১৬ সালে বাংলাদেশ থেকে ভারতে রেমিটেন্স যায় ৮৩২ কোটি ডলার। ২০১৪ সালে এর পরিমাণ ছিল ৪৫০ কোটি ডলার।

বিশ্বব্যাংক, জাতিসংঘের ইন্টারন্যাশনাল মাইগ্রেশন অর্গানাইজেশন ও ভারতের কেন্দ্রীয় রিজার্ভ ব্যাংক সূত্রের বরাত দিয়ে ওই ‘তথ্যগুলো’ উপস্থাপন করা হয়েছে। বেসরকারি উন্নয়ন গবেষণা প্রতিষ্ঠান সিপিডির বরাতও দেওয়া হয়েছে। তবে কোনো প্রতিষ্ঠানেরই কারো বক্তব্য বা তথ্যসূত্রের সুনির্দিষ্ট উল্লেখ নেই।

এ বিষয়ে নির্ভরযোগ্য তথ্য দিয়ে থাকে পিউ রিসার্চ সেন্টার। প্রতিষ্ঠানটি বিশ্বব্যাংকেরই তথ্য ব্যবহার করে। তাদের প্রকাশিত তথ্যের সঙ্গে কথিত সংবাদের আকাশ-পাতাল ফারাক।

পিউ রিসার্চ সেন্টারের ওয়েবসাইটে দেখা যায়, সেখানে ভারত থেকে অন্য দেশে যাওয়া (আউটগোয়িং) এবং অন্য দেশ থেকে ভারতে যাওয়া (ইনকামিং) রেমিটেন্সের তথ্য ও তালিকা রয়েছে।

ওই তালিকায় ভারত থেকে যেসব দেশে রেমিটেন্স গেছে সেটার তালিকা আসে প্রথমে। সেখানে দেখা যায়,  বাংলাদেশের অবস্থান শীর্ষে। ৪ বিলিয়ন ডলার রেমিটেন্স বাংলাদেশে আসে প্রতিবেশী দেশটি থেকে।

আর ভারতে অন্য দেশ থেকে রেমিটেন্স গেছে, সেই তালিকায় দেখা যায়, বাংলাদেশের স্থান পঞ্চমতো দূরে থাক, আশেপাশেও নেই। বাংলাদেশের স্থান ২৫ নম্বরে। বাংলাদেশ থেকে ২০১৬ সালে ভারতে রেমিটেন্স হিসেবে গেছে ১১ কোটি ৪০ লাখ ডলার।

আর আমাদের দেশী প্রতিষ্ঠান সিপিডি অবশ্য এই অবৈধ রেমিটেন্সসহ একটি গবেষণা করেছিল ২০১৩ সালে। সেখানে বলা হয়েছে, ওই বছর ভারতে বাংলাদেশ থেকে বৈধ-অবৈধ পথে যাওয়া রেমিটেন্সের মোট পরিমাণ আনুমানিক ৩৭০ কোটি ডলার।