কোরীয় উপদ্বীপে সামরিক মহড়া বন্ধ করবেন ট্রাম্প

Post Image

উত্তর কোরিয়ার নেতা কিম জং-উনের সঙ্গে সিঙ্গাপুরের বৈঠকের পর দক্ষিণ কোরিয়ার সঙ্গে সামরিক মহড়া বন্ধের প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।

কোরিয়া উপদ্বীপে ওই যৌথ মহড়াকে ‘খুবই উস্কানিমূলক’ এবং ‘ব্যয়বহুল’  বলে বর্ণনা করেছেন তিনি।

উত্তর কোরিয়াকে চাপে রাখতে যুক্তরাষ্ট্র ও তাদের মিত্র দেশ দক্ষিণ কোরিয়া প্রতিবছরই নিয়মিত এ সামরিক মহড়া অনুষ্ঠান করে আসছে। এ মহাড়কে ‘যুদ্ধের উসকানি’ বলেই মনে করে উত্তর কোরিয়া।

মঙ্গলবার উত্তর কোরিয়ার নেতা কিমের সঙ্গে বৈঠকের পর সিঙ্গাপুরে এক সংবাদ সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প বলেন, “ওই যুদ্ধ মহড়া (ওয়ার গেম) খুবই ব্যয়বহুল। এ মহড়া অনুষ্ঠানের জন্য বেশিরভাগ অর্থ আমরাই দিতাম।”

“বর্তমান পরিস্থিতিতে, যেহেতু আমরা আলোচনা করছি...আমার মনে হয় ওই যুদ্ধ মহড়া চালিয়ে যাওয়া ঠিক হবে না।”

একে স্পষ্টতই বড় ধরনের ছাড় বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

তবে যৌথ সামরিক মহড়া বন্ধ করার কথা বলে ট্রাম্প আসলে ঠিক কি বোঝাতে চাইছেন সে সম্পর্কে স্পষ্ট করে জানতে ওয়াশিংটনের সঙ্গে আলোচনার প্রয়োজন হবে বলে জানিয়েছেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট কার্যালয়ের কর্মকর্তারা।

ব্লু হাউজের এক মুখপাত্র বলেন, “এ অবস্থায় আমাদের প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের বক্তব্যের যথার্থ অর্থ বা তার আসল উদ্দেশ্য খুঁজে বের করা প্রয়োজন।”

সিঙ্গাপুরের সানতোসা দ্বীপের কাপেলা হোটেলে মঙ্গলবার ঐতিহাসিক সম্মেলনে বসেন ট্রাম্প ও কিম। স্থানীয় সময় সকালে উভয় নেতা পরস্পরের দিকে সতর্কভাবে হেসে করমর্দন করে বৈঠক শুরু করেন।

একটি যৌথ ঘোষণায় স্বাক্ষরের মধ্য দিয়ে বৈঠক শেষ হয়। কিমের সঙ্গে এই বৈঠককে ‘অভূতপূর্ব’ বলে বর্ণনা করেছেন ট্রাম্প।

আর কিম বলেছেন, “আমরা একটি ঐতিহাসিক বৈঠকে মিলিত হয়েছি এবং অতীতকে পেছনে ফেলে আসার সিদ্ধান্ত নিয়েছি।”এ বৈঠক হওয়ার জন্য ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।

ট্রাম্প-কিম যৌথ ঘোষণার প্রধান তিনটি বিষয়:

>যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে (ডেমোক্রেটিক পিপলস রিপাবলিক অব কোরিয়া) শান্তি ও সমৃদ্ধির জন্য দুই দেশের জনগণের আকাঙ্খানুযায়ী সহযোগিতার ভিত্তিতে ‘নতুন ইউএস-ডিপিআরকে সম্পর্ক’ স্থাপনে প্রতিশ্রুতিব্ধ থাকবে। ওদিকে, উত্তর কোরিয়াকে নিরাপত্তার নিশ্চয়তা দেবে যুক্তরাষ্ট্র।

>কোরীয় উপদ্বীপে দীর্ঘমেয়াদী ও স্থায়ী শান্তি প্রতিষ্ঠায় যুক্তরাষ্ট্র ও ডিপিআরকে যৌথ উদ্যোগ নেবে।

> চলতি বছরের ২৭ এপ্রিলের পানমুনজম ঘোষণা পুনর্নিশ্চিত করে কোরীয় উপদ্বীপকে পুরোপুরি পারমাণবিক অস্ত্রমুক্ত করার লক্ষ্যে কাজ করতে ডিপিআরকে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ থাকবে।