৪ দিনব্যাপী শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা শুরু

Post Image

তথ্য-প্রযুক্তি ক্ষেত্রে শিশু-কিশোরদের মেধা বিকাশে শুরু হয়েছে চার দিনব্যাপী জাতীয় শিশু-কিশোর প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতা-২০১৮। 

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার শুক্রবার সাভারে শেখ হাসিনা জাতীয় যুব উন্নয়ন কেন্দ্রে ন্যাশনাল ক্যাম্প পরিদর্শন করেন।

৭ জুন থেকে শুরু হওয়া এ প্রতিযোগিতার প্রথম পর্যায়ে অংশ নিয়েছে প্রথম থেকে পঞ্চম শ্রেণির ৫৫টি স্ক্র্যাচ টিম। যেখানে প্রাথমিক পর্যায়ের ক্ষুদে শিক্ষার্থীরা খেলতে খেলতেই রপ্ত করছে জটিল প্রোগ্রামিংয়ের ভাষা।

ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার অগ্রাধিকারে তথ্য-প্রযুক্তিতে দক্ষ আগামীর জাতি গড়ার লক্ষ্যে, শিশু-কিশোরদের প্রোগ্রামিংয়ে অনুপ্রেরিত করার জন্যই এই প্রতিযোগিতা।

প্রযুক্তিবান্ধব আগামী প্রজন্ম গড়ে তোলার এ আয়োজনে প্রশিক্ষক হিসেবে থাকছেন দেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক। দ্বিতীয় পর্যায়ে আগামী ৯ থেকে ১০ জুন হবে পাইথন ক্যাম্প ও প্রতিযোগিতা। যেখানে অংশ নেবে মাধ্যমিক পর্যায়ের ১২৮ জন প্রতিযোগী।

‘অবাক হবে বিশ্ব এবার, শিশুরা হবে প্রোগ্রামার’ স্লোগানে  ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্য-প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে বাংলাদেশ কম্পিউটার কাউন্সিল বিসিসি এবং ইয়ং বাংলা যৌথভাবে এ প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে।

প্রথমবারের মতো এই প্রতিযোগিতায় তৃতীয়-পঞ্চম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং এবং ষষ্ঠ-দশম শ্রেণির শিক্ষার্থীদের জন্য পাইথন রাখা হয়েছে  এবং প্রতিযোগিতার আগে সবাইকে প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এই প্রশিক্ষণ যেন একটা স্থায়ী শিক্ষায় রূপ নেয় সে লক্ষ্যে আইসিটি শিক্ষক এবং ল্যাব কো-অর্ডিনেটরদেরকেও প্রশিক্ষিত করা হয়েছে। ৬৪ জেলা থেকে প্রাথমিকভাবে ৫৪০০ জন জেলা পর্যায়ের এই প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করে। স্ক্র্যাচ ও পাইথন দুই বিভাগে অনুষ্ঠিত এ প্রতিযোগিতায় স্ক্র্যাচে ২৭০০ জন এবং পাইথনে ২৭০০ জন অংশগ্রহণ করে। স্ক্র্যাচ প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতাটিতে প্রতি তিনজন শিক্ষার্থীকে একটি টিম হিসেবে অংশ এবং পাইথনে এককভাবে অংশগ্রহণ করে।

এর আগে সারাদেশে ১৮০টি শেখ রাসেল ডিজিটাল ল্যাবে পাইথন ও স্ক্র্যাচের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় গত ১২ মে থেকে ৩০ মে পর্যন্ত। তারও আগে গত ১৬ ও ১৭ এপ্রিল প্রশিক্ষকদের জন্য দুদিনব্যাপী একটি প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়। ছাত্রছাত্রীদের ল্যাব প্রশিক্ষণ শেষে এবার শুরু হয় জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতা।