বিক্ষোভে উত্তাল গাজা, গুলিতে নিহত ৪১

Post Image

ইসরায়েলি সেনাদের গুলিতে গাজায় এখন পর্যন্ত ৪১ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে সতেরোশোরও বেশি ফিলিস্তিনি নাগরিক। জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস খোলাকে কেন্দ্র করে বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠা গাজায় এই হতাহতের ঘটনা ঘটে বলে জানিয়েছে আন্তজার্তিক গণমাধ্যম আল জাজিরা।

বিক্ষোভ দমনের নামে সোমবার ইসরায়েলি সেনাদের এই হামলায় নিহতদের তালিকায় রয়েছে শিশু ও নারীরাও। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের দেয়া তথ্য অনুসারে নিহতেদের মধ্যে ১ জন নারী ও ৫ জন শিশু রেয়েছ।  আহতদের ভেতর, কমপেক্ষ ১শ ২২ জন শিশু রয়েছে, ৪৪ জন নারী এবং ‌‌১১ জন সাংবাদিক আছেন।

সোমবার জেরুজালেমে যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাস উদ্বোধনের কথা ছিলো। এই দূতাবাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করতে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মেয়ে ইভানকা ট্রাম্প এবং জামাতা জ্যারেড কুশনার বর্তমানে জেরুজালেমে রয়েছেন। কিন্ত এতে বাধা হয়ে দাড়ায় ফিলিস্তানিরা। জেরুজালেমে মার্কিন দূতাবাস খোলার প্রতিবাদ জানিয়ে বিক্ষোভ করে। বিক্ষোভে উত্তাল হয়ে ওঠে গাজা। এই দূতাবাস খোলা মানে পুরো জেরুজালেমের নিয়ন্ত্রণ নিতে ইসরায়েলকে ওয়াশিংটনের স্বীকৃতি দেওয়া বলে মনে করছেন ফিলিস্তিনিরা। তাই ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে ফিলিস্তিনিরা।

এই বিক্ষোভ প্রদর্শন করতে গিয়েই শুরু হয় ইসরায়েলি বাহিনীর সাথে সংঘর্ষ। ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীদের ঠেকাতে সেনাবাহিনী মোতায়েন করেছে ইসরায়েল। ফিলিস্তিনি বিক্ষোভকারীরা ওই সেনাসদস্যদের লক্ষ্য করে পাথর ও। সেনাসদস্যরা গুলি ও কাঁদানে গ্যাস ছুড়ে পাল্টা জবাব দিচ্ছে। এতে ওই হতাহতের ঘটনা ঘটে।

আলজাজিরাকে দেয়া স্বাক্ষাতকারে স্থানীয় সাংবাদিক মারাম হুমায়দ ‘‘গত সাত সপ্তাহের বিক্ষোভের তুলনায় এবার বিক্ষোভকারীদের সংখ্যা অনেক বেড়েছে।’’

১৯৪৮ সালে ইসরায়েল প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পর হাজার হাজার ফিলিস্তিনি বাস্ত্যুচুত হয়। ইসরায়েলি অবৈধ ভূমি দখলকে ফিলিস্তিনিরা বিপর্যয় হিসেবে মনে করে। ফিলিস্তিনিরা দীর্ঘদিন ধরে তাদের নিজ ভূখণ্ড ফেরতের দাবি জানিয়ে আসছে। তবে ইসরায়েল বলছে, তাদের উচিত গাজা এবং পশ্চিম উপত্যকায় ভবিষ্যৎ ফিলিস্তিন রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠা করা।

গাজা উপত্যকার ২০ লাখ মানুষের ৭০ শতাংশ উদ্বাস্তু হয়ে জীবন কাটাচ্ছে। গত ৩০ মার্চ থেকে শুরু হওয়া এ বিক্ষোভে ইসরায়েলি বাহিনীর সঙ্গে সংঘর্ষে কমপক্ষে ৫০ ফিলিস্তিনি মারা গেছেন। এছাড়া আহত হয়েছে আরো অন্তত সাড়ে ৮ হাজার।