নববর্ষ উদযাপন সার্বজনীন উৎসব : প্রধানমন্ত্রী

Post Image

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশে নববর্ষ উদযাপন একটি সার্বজনীন উৎসব। ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে এ উৎসব সবার। শহর, গ্রাম সবখানেই সবাই একসঙ্গে নববর্ষের উৎসব উদযাপন করে। এ উৎসব উদযাপনে যত বাধাই আসুক, বাঙালি কোনো বাধা মানে না। এ জাতি বাধা ভাঙতে জানে।

শনিবার (১৪ এপ্রিল) গণভবনে বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা বিনিময় শেষে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশে সব ধর্মের মানুষ একসঙ্গে এ উৎসব উদযাপন করে। বিদেশে এ উৎসব করা হয়। এমনকি গ্রাম পর্যায়েও এ উৎসব উদযাপন করা হয় এখন। সবাই মন খুলে একাত্ম হয়ে যাতে এ উৎসব পালন করতে পারে আমরা সে ব্যবস্থা করেছি। গত বছর থেকে আমরা নববর্ষে ভাতার ব্যবস্থা করেছি।

শেখ হাসিনা বলেন, পৃথিবীতে অনেক দেশ আছে। সব দেশেই নববর্ষের অনুষ্ঠান হয়। কিন্তু ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র এই উপমহাদেশে শুধু বাংলাদেশ। আমরা বাংলা ভাষায় কথা বলি, বাংলায় হাসি, বাংলায় কাঁদি, বাংলায় জীবন চর্চা করি।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ১৯৯২ সালে আমরা ১৪০০ বঙ্গাব্দকে বরণ করতে অনুষ্ঠানের আয়োজন করিছিলাম। কিন্তু সেখানে তৎকালীন খালেদা জিয়া সরকার বাধা দেয়। আমরা কবি সুফিয়া কামালকে নিয়ে সেসব বাধা উপেক্ষা করে রমনা পার্কে আয়োজিত অনুষ্ঠানে নতুন শতাব্দিকে স্মরণ করি।

তিনি বলেন, আমাদের সজাগ থাকতে হবে যাতে দেশে এমন কোনও অশুভ শক্তি না আসে যারা সমাজ, ধর্ম ও সংস্কৃতির ওপর আঘাত করতে পারে। এমন কোনও শক্তিকে বাংলাদেশের ক্ষমতায় আসতে দেওয়া যাবে না। কারণ বাংলা আমাদের দেশ, এখানে কোনও অপশক্তি থাকতে পারে না।

অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশের কথা উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এখন উন্নয়নশীল দেশে পরিণত হয়েছে। উন্নত দেশ হিসেবে গড়ে তুলবো। সকল বাঙালি ঐক্যবদ্ধভাবে সমৃদ্ধ বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠা করবে।

দেশে-বিদেশে সব বাঙালিকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাঙলা নতুন বছরের শুভেচ্ছা জানান।