আউশ ধানের আবাদ বাড়াতে বিশেষ উদ্যোগ

Post Image

দেশে আউশ ধান চাষে কৃষকদের উৎসাহিত করতে ব্যাপক কর্মসুচি হাতে নিয়েছে সরকার। আর এ উদ্দেশ্যে এরই মধ্যে কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে কৃষি উপকরণ বিতরণের জন্য প্রায় ৪০ কোটি টাকা কৃষি বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। এ বিষয়ে প্রয়োজনীয় সহযোগিতা চেয়ে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আবদুল মুহিতের কাছে চিঠি দিয়েছেন কৃষিমন্ত্রী মতিয়া চৌধুরী।

কৃষি মন্ত্রণালয় সূত্রে জানা গেছে, সম্প্রতি অর্থমন্ত্রীকে লেখা এক চিঠিতে কৃষি মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগের কথা তুলে ধরা হয়েছে। এতে বলা হয়েছে, বর্তমান সরকার কৃষিবান্ধব সরকার। আধুনিক কৃষি গবেষণা, প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণ কার্যক্রম জোরদারকরণের মাধ্যমে এই সরকার কৃষি ক্ষেত্রে বৈপ্লবিক পরিবর্তন ও অগ্রগতি সাধন করেছে। জলবায়ু পরিবর্তন ও অন্যান্য প্রাকৃতিক কারণে সৃষ্ট বৈরী পরিস্থিতি মোকাবেলা ও কৃষিজ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে সরকার সব সময় কৃষকদের পাশে থেকে সহায়তা দিয়ে আসছে।

সূত্র জানায়, কৃষির অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখতে আগের বছরগুলোর মত এবারও খরিপ-১/২০১৮-২০১৯ মৌসুমে কৃষকদের জন্য আউশ প্রণোদনা দেওয়ার কার্যক্রম গ্রহণ করা হয়েছে। আউশ একটি আদি ধান। এতে সূর্যের আলো বেশি পড়ে। ফলে সালোকসংশ্লেষণ বেশি হয়। যার কারণে ফলন সময় কমে আসে। এতে সেচের জন্য পানি ব্যবহারের পরিমানও কম লাগে।

সূত্র জানায়, বর্তমান প্রনোদনা কার্যক্রমের আওতায় কৃষি মন্ত্রণালয় থেকে খরিপ-১/ ২০১৮-২০১৯ মৌসুমে ৬৪টি জেলায় উফশী আউশ ও ৪০টি জেলায় নেরিকা আউশ উৎপাদন বৃদ্ধির লক্ষ্যে দুই লাখ ৩৭ হাজার ১৮২ জন কৃষককে বিনা মূল্যে কৃষি উপকরণ হিসেবে বীজ এবং ইউরিয়া, ডিএপি ও এমওপি সার, আগাছা দমন এবং সেচ সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। এ বাবদ কৃষি মন্ত্রণালয় মোট ৩৯ কোটি ৬২ লাখ ৮৩ হাজার ২৪৫ টাকা সংশ্লিষ্ট জেলা প্রশাসক ও সভাপতি, জেলা কৃষি পুনর্বাসন বাস্তবায়ন কমিটি বরাবরে ইতোমধ্যে বরাদ্দ দিয়েছে।

সূত্র জানায়, বরাদ্দ দেওয়া সহায়তা সংশ্লিষ্ট জেলা ও উপজেলা কমিটির মাধ্যমে বিতরণের ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। এই সহায়তার আওতায় প্রতি কৃষক এক বিঘা জমির জন্য ৫ কেজি ধান বীজ, ২০ কেজি ইউরিয়া, ১০ কেজি করে ডিএপি ও এমওপি সার সহায়তা পাবেন। তবে নেরিকা আউশ ধানের ক্ষেত্রে আগাছা দমনের জন্য ৫০০ টাকা ও সেচ সহায়তা হিসেবে ৫০০ টাকা পাবেন। এর ফলে কৃষকরা আউশ ধান আবাদে উৎসাহিত, আধুনিক কৃষি প্রযুক্তি ব্যবহারে অভ্যস্ত এবং নতুন নতুন জাতের সঙ্গে পরিচিত হবেন। ফলে সার্বিকভাবে দেশে চাল উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে বলে কৃষিমন্ত্রী আশা প্রকাশ করেছেন তার চিঠিতে। এ বিষয়ে তিনি অর্থমন্ত্রীর সার্বিক সহায়তাও চেয়েছেন।