জামালপুরের বকশীগঞ্জে পঞ্চম শ্রেণির এক ছাত্রীকে ধর্ষণের পর খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ব্লেড দিয়ে শরীরের বিভিন্ন স্থান কেটে দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে এক তরুণের বিরুদ্ধে।
বকশীগঞ্জ পৌরসভার পূর্ব মেষেরচর গ্রামে শনিবার গভীর রাতে এ ঘটনা ঘটে বলে জামালপুরের পুলিশ সুপার দেলোয়ার হোসেন জানান। আহত স্কুলছাত্রীকে রোববার দুপুরে জামালপুর সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। এই ঘটনায় ওই তরুণকে (১৭) আটক করেছে পুলিশ।
মেয়েটির পরিবারের অভিযোগ, রাতে মেয়েটি শৌচাগারে যাওয়ার জন্য ঘর থেকে বের হলে ওত পেতে থাকা ওই তরুণ তার মুখে মাটি গুজে নির্জন স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে খুঁটির সঙ্গে বেঁধে ধর্ষণের পর তারয়ে শরীরের বিভিন্নস্থানে ব্লেড দিয়ে ক্ষত বিক্ষত করে দেয়।
“এক পর্যায়ে মেয়ের ডাক চিৎকারে প্রতিবেশীরা এগিয়ে গেলে সে পালিয়ে যায়।”
পরে তাকে উদ্ধার প্রথমে বকশীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নেওয়া হয়। সেখানে অবস্থার অবনতি হলে জামালপুর সদর হাসপাতালে নেওয়া হয় বলে জানান স্বজনরা।
হাসপাতালের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সৌমিত্র কুমার বণিক বলেন, শিশুটিকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে ভর্তি করা হয়েছে। মেয়েটি ধর্ষণের শিকার হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।
ডাক্তারি পরীক্ষার পর বিস্তারিত বলা যাবে বলে জানান তিনি। ওই স্কুলছাত্রীর বাবা বলেন, “প্রতিবেশী ছেলেটি অনেক দিন ধরেই আমার মেয়েকে উত্ত্যক্ত করে আসছে।”
পুলিশ সুপার বলেন, স্কুলছাত্রীটি ধর্ষণ ও অমানবিক শারীরিক নির্যাতনের শিকার হয়েছে। তাকে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। এ ব্যাপারে মেয়েটির বাবা বাদী হয়ে বকশীগঞ্জ থানায় মামলা করেছেন বলে জানিয়েছেস ওসি আসলাম হোসেন।